গরু হত্যাকে কেন্দ্র করে সংঘাতে দুই মন্ত্রী

ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধী বিহারে ২০০ নীলগাই হত্যাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন। বিহারে ছয় দিনে দুইশ’র বেশি নীলগাইকে বন্দুকের গুলিতে হত্যা করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় নারী এবং শিশুকল্যাণমন্ত্রী মানেকা গান্ধী আজ বলেছেন, পশু হত্যা করার কারণ বুঝতে পারছি না। দেশজুড়ে নির্বিচারে পশু হত্যার জন্য তিনি কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী প্রকাশ জাভাদেকরকে সরাসরি দায়ী করেছেন।

যদিও পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভাদেকর বলেন, ফসল রক্ষা করতে রাজ্য সরকারের আবেদনের ভিত্তিতে নীলগাইকে হত্যা করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয়মন্ত্রী মানেকা গান্ধী ওই ঘটনাকে ‘সবচেয়ে বড় সংহার’ বলে মন্তব্য করে বলেন, এ ধরণের ‘গণহত্যা’ আগে ঘটেনি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন রাজ্যে চিঠি লিখে প্রাণীদের তালিকা চাওয়া হচ্ছে যাদের হত্যা করা প্রয়োজন। যাতে কেন্দ্রীয় সরকার এর অনুমতি দিতে পারে!’

এদিকে, দুই মন্ত্রীর মধ্যে বিবাদের মধ্যে জেডিইউ মুখপাত্র অজয় অলোক বলেন, ‘এই ঘটনা আসলে মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব। এই ঘটনা প্রথম হচ্ছে না। অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যেও দ্বন্দ্ব থাকার জন্য এরকম ঘটনা ঘটছে।’

এনসিপি মুখপাত্র রাহুল নার্বেকর বলেন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। কারণ, এখানে একজনের ইচ্ছাতেই সবকিছু হয়।

এলজেপি নেতা চিরাগ পাসোয়ান প্রাণী হত্যাকে অমানবিক কাজ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

মানেকা গান্ধী বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার বিহারে নীলগাই, পশ্চিমবঙ্গে হাতি, হিমাচল প্রদেশে বাঁদর, গোয়াতে ময়ূর, চন্দ্রপুরে বন্য শূকর হত্যা করার অনুমতি দিয়েছে। যদিও বন্যপ্রাণী বিভাগ বন্য পশু হত্যায় একমত নয়।’ তার দাবি, বিহারে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং কৃষকরা নীল গাই হত্যা করার পক্ষে ছিলেন না।

মন্ত্রী প্রকাশ জাভাদেকর অবশ্য তার সাফাইতে বলেন, যা করা হয়েছে তা আইন মেনেই করা হয়েছে। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মসূচি অনুযায়ী করা হয়নি।

মানেকা গান্ধী বলেন, “মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুরে খরার কবলে পড়ে এরইমধ্যে ৫০ টি বন্য শূকরের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, পরিবেশ মন্ত্রণালয় থেকে আরো ৫০ টি হত্যা করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। যদিও রাজ্যের প্রাণী বিভাগ এটা চায় না। কেন এভাবে প্রাণীদের হত্যা করা হবে সেটা আমি বুঝতে পারছি না।” এভাবে দুই মন্ত্রীর বিবাদকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। খবর-রেতে।



মন্তব্য চালু নেই