গাফফার চৌধুরীর বিচার চাইলেন চরমোনাই পীর

ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্যের কারণে কলাম লেখক আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখী করার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে রবিবার বাদ জোহর বিক্ষোভ মিছিলের আগে এক সমাবেশে তিনি এ দাবি জানান।

নিউইয়র্কে অবস্থিত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ৩ জুলাই ‘বাংলাদেশ : অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ‘আল্লাহর ৯৯ নাম কাফেরদের দেবতাদের নাম’সহ নারীদের পর্দা নিয়ে কটূক্তি করেন বাংলাদশী বংশোদ্ভূত বৃটিশ নাগরিক আব্দুল গাফফার চৌধুরী।

এর আগে নিউইয়র্কে হজ ও তবলিগ জামাত নিয়ে কটূক্তি করে মন্ত্রিত্ব হারিয়ে সম্প্রতি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী।

চরমোনাই পীর বলেন, এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে গাফফার চৌধুরী গর্হিত অপরাধ করেছেন। অবিলম্বে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখী করতে হবে। এজন্য ধর্ম অবমাননার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান পাশ করার দাবি জানান তিনি।

সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীকে রোজার মাসে মুক্তি দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে চরমোনাই পীর রেজাউল করীম বলেন, তাকে আবার গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। তা না হলে আমাদের আন্দোলন আরও তীব্র হবে।

দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ইসলাম অবমাননা করে এদেশে তসলিমা নাসরিনরা টিকতে পারেনি। লতিফ সিদ্দিকী ও গাফফার চৌধুরীরাও টিকতে পারবে না।

প্রচণ্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে দলটির মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ,উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, প্রচার সম্পাদক আহমদ আব্দুল কাইয়ুম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

পরে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি পল্টন মোড় ঘুরে দৈনিক বাংলা হয়ে আবার বায়তুল মোকাররমের সামনে গিয়ে শেষ হয়।



মন্তব্য চালু নেই