গাড়িচালকদের অদ্ভুত সংহতি

শিক্ষার্থীদের অবরোধে পুরো ঢাকা শহরই ছিলো অচল। ধানমণ্ডি, নিউমার্কেট, রামপুরা, মহাখালী, কাকলিসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো ঘুরে দেখা যায় যানবাহনের সারি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে যাত্রীরা হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হন। গাড়ি চলে না তাই এক ধরণের অখণ্ড অবসরে ছিলেন গণপরিবহনের চালক-সহকারীরা।

কথা হচ্ছিলো আমিন মোহম্মদের সঙ্গে। সাত বছর ধরে মোহম্মদপুর থেকে মতিঝিল রুটের মৈত্রি পরিবহন চালান তিনি। চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, এভাবে ছাত্রদের উপর ভ্যাট সরকার বসাতে পারে না। আমরা কোন দেশে আছি? ছাত্রদের ওপর ভ্যাট বসানো হচ্ছে, দেশের সম্পদ গ্যাস তাতেও মূল্য বৃদ্ধি, বিদ্যুতের দামও বাড়ানো হচ্ছে।

‘এভাবে দেশ চলতে পারে না। ভাড়ার গাড়ি, জমাতো খরচ তো দিতেই হবে,’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাগো যা হই হবে। আমাগো পেটের চিন্তা ছাত্রদের করা লাগবে না। তারা যেনো তাদের দাবি আদায় করে।’

নিজের ঘরে ছোট ভাই বোন আছে উল্লেখ করে এফটিসিএল পরিবহনের ড্রাইভার রহমান মিয়া বলেন: আমার ঘরে ছোট ভাই বোন আছে। আমাদেরও ভ্যাট দিতে হবে। আমরা সবাই আপনাদের সঙ্গে আছি। এই যে গাড়ি উল্টা করে রাখছি, গাড়ি সোজা করবো না। রাস্তা বন্ধ থাকবে। ছাত্ররা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাক। আমরা সঙ্গে আছি।



মন্তব্য চালু নেই