গিয়েছিলেন মাছ ধরতে, যা পেলেন তাতে চোখ কপালে উঠল দুই বন্ধুর

প্রতিনিয়ত কত ধরনের বিস্ময়কর ঘটনাই না ঘটে চলে বিশ্বজুড়ে। আমাদের অবাক হওয়ার পরিধিটাকে বিস্তৃত করে সংবাদের পাতায় জায়গা করে নেয় তার কিছু। এই ঘটনাটিকেও সেগুলোর মধ্যেই ফেলা যায়।
সপ্তাহান্তে যুক্তরাষ্ট্রের শাগরিন নদীতে মাছের সন্ধানে গিয়েছিলেন দুই বন্ধু। যদিও পেশায় মৎসজীবী নন তাঁরা কেউই। মাছ ধরাটা নিছকই তাঁদের শখ। বরফজমা নদীর জলে মাছ খুঁজতে গিয়ে তাঁদের নজরে আসে একটি কালো রঙের বস্তু, যা এক খণ্ড গাছের ডালের সঙ্গে লেগে থাকা অবস্থায় নদীর জলে ভাসছে। সামনে দু’জন গিয়ে বুঝতে পারেন, বস্তুটি আসলে একটি সাপ। আর যে কোনও সাপ নয়, এক্কেবারে ১৬ ফুট লম্বা একটি অ্যানাকোন্ডা। ঠাণ্ডায় প্রায় আধমরা, শুকনো জায়গায় ওঠার ক্ষমতা পর্যন্ত নেই সে সাপের। বলা বাহুল্য, এ অবস্থায় যে কেউ পড়লেই ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’-র পন্থাই অবলম্বন করতেন। যেচে বিপদ ডেকে এনে সাপকে আর কে-ই বা সাহায্য করবে!
তবে যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা স্যাম লিঙ্কন এবং তাঁর বন্ধু অন্য ধাতুতে গড়া। সাপটিকে দেখে তাঁদের মনে হয়, একে মৃত্যুর হাতে ছেড়ে চলে যাওয়াটা অনুচিত হবে। তার পর বেশ খানিকক্ষণের চেষ্টায় অবশেষে সাপটিকে ডাঙায় তুলতে সক্ষম হন তাঁরা। যদিও সাপটির শারীরিক অবস্থায় বিশেষ উন্নতি দেখা যায়নি এর পরেও। পরে পুরো ঘটনাসহ সাপটির ছবি লিঙ্কন পোস্ট করেন তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে। সঙ্গে এ-ও লেখেন যে, এর আগে তাঁদের অনেকরকম অভিজ্ঞতাই হয়েছে। কিন্তু এই অভি়জ্ঞতা প্রথমবার। সাপের আকৃতি দেখার পর দু’জনেরই চোখ কপালে উঠেছিল।



মন্তব্য চালু নেই