গুগলের ক্লাউড সুবিধা নেবে অ্যাপল

অনেক সময় দেখা আমরা পিসিতে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ফাইল রাখি। পিসি কোনভাবে নষ্ট হয়ে গেলে অথবা হার্ডডিস্ক ক্রাশ করলে সমস্ত ফাইল নষ্ট হয়ে যায়। ওই ফাইলগুলো ইন্টারনেটে নিজস্ব কোন স্পেসে রাখলে তা হারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। ইন্টারনেটে ফাইল রাখার স্পেসকে ক্লাউড বলে।

গুগল অনেক আগে থেকেই ক্লাউড স্টোরেজ সুবিধা দিয়ে আসছে। ফেব্রুয়ারিতে গুগল ক্লাউড প্লাটফর্মের প্রধান গ্রাহক হিসেবে যোগ হচ্ছে অ্যাপল।

ফিন্যান্সিয়্যাল টাইমস এবং সিআরএনের তথ্য মতে অ্যাপল একটি মাল্টি মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করতে আগ্রহী গুগলের সাথে যেখানে অন্যান্য ক্লাউড সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানদের বাদ দিয়ে অ্যাপলকে বেশি ক্লাউড স্টোরেজ দেয়া হবে।

বর্তমানে গুগলের ক্লাউড স্পেস ব্যবহার করছে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস, মাইক্রোসফট আজুর এবং মাইক্রোসফটের নিজস্ব ডাটা সেন্টার।

যদিও কোন প্রতিষ্ঠান এই চুক্তির ব্যাপারে এখনও কোন নিশ্চিত তথ্য দেয় নি তবে সিআরএনের সূত্রের তথ্য অনুসারে এই চুক্তি হতে পারে ৪০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে। গুগল দৃশ্যত হাই প্রোফাইলের কাস্টমারদের এক্ষেত্রে অগ্রগামী রাখছে। অ্যামাজন এবং মাইক্রোসফটকে হাতে রাখার জন্য এটি একটি উত্তম পদক্ষেপ।

আমির ইফরাতি নামের একজন গুগল কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা সত্যি যে @iCloud পরিচালিত হয় @googlecloud দিয়ে। কিন্তু এটি হতে আরও একবছর লাগবে এবং এটি গুগলের জন্য লাভজনক কোন প্রজেক্ট নয়।’

এই বিজয় অ্যালফাবেট প্রপার্টির স্বল্প সময়ের জন্য। আইফোন নির্মাতারা তাদের ডাটা সেন্টার বৃদ্ধির জন্য পরিকল্পনা করছেন এবং নতুন একটি তৈরির চিন্তাও করছেন। যা তৈরি হয়ে গেলে নিজস্ব সেন্টার থেকেই পরিচালিত হবে ক্লাউড ভিত্তিক সেবা।



মন্তব্য চালু নেই