গোয়েন্দা বাঁদর

পৃথিবীর বিখ্যাত সব গোয়েন্দাদের নাম মনে করুন তো! নিশ্চয় সবার আগে চলে আসবে স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের শার্লক হোমসের কথা। আমাদের ঘরেই রয়েছে ফেলুদা-ব্যোমকেশের মতো তুখোড় সব গোয়েন্দা। কিন্তু আমরা কি জানি, জঙ্গলেও আছে গোয়েন্দারা? অবশ্য তারা মানুষ নন। তবে মানুষের আদিপুরুষ।

বাঁদরের কথা বলা হচ্ছে আর কি! সম্প্রতি বাঁদরের নতুন এই গুণের কথা জানিয়েছে বিবিসি-নেচার ওবেসাইট। তবে সব বাঁদরের এই গুণ নেই। দক্ষিণ আমেরিকার লোমশ বাঁদরদের (Woolly monkey) মধ্যেই রয়েছে গোয়েন্দাগিরির মতো যথেষ্ট বুদ্ধি।

এরা চোরা শিকারীদের আলাদা করে চিনতে পারে। এই বাঁদরদের দেখা মেলে ইকুয়াডর, পেরু আর ব্রাজিল অংশের আমজনের রেইনফরেস্টে।

এসব এলাকার আদিবাসীরা শিকার প্রবণ। তারাই মূলত পশমী বাঁদরের শিকার করে।

লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের একদল গবেষক সম্প্রতি পশমী বাঁদরদের ওপর গবেষণার জন্য আমাজানে অভিযান চালিয়েছেন। এই গবেষকদলই জানিয়েছেন বাঁদরের সম্পর্কে এই আশ্চর্য তথ্য।

এই বাঁদরকে শিকার করা হয় মূলত এদের মাংস খাওয়ার জন্য। কিন্তু এরা মানুষের আচরণ দেখে সে শিকারি নাকি সাধারণ মানুষ তা বুঝতে পারে। গবেষকরা বাঁদরের এই আচরণ সম্পর্কে জানার পর একদল শিকারী, আর একদল গবেষক আলাদা আলাদাভাবে পশমী বাঁদরদের এলাকায় পাঠান।

তাঁরা লক্ষ্য করেন, শিকারীরা বনের ভেতর প্রবেশ করা মাত্র বাঁদরা সাময়িক নীরব হয়ে যায়, তারপর অন্যদেরকে সংকেত দিয়ে নিজেরা হারিয়ে যায় জঙ্গলের গভীরে। কিন্তু গবেষকদেরকে বাঁদররা তেমন পাত্তা দেয়নি। নিজেদের স্বাভাবিক আচরণ বজায় রেখেছে।

গবেষকদের মতে, শিকারিদের পোশাক, তীর-ধনুক বা বন্দুক এবং চলাফেরার ভঙ্গি দেখে বাঁদররা শিকারিদের চিহ্নিত করতে পারে।



মন্তব্য চালু নেই