গৌরনদীর মরাখালে ফিরবে যৌবণ

বরিশাল প্রতিনিধি : জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা, দখল দূষনে ভরে যাচ্ছে নদী ও খাল। ফলশ্রুতিতে জেলার অধিকাংশ উপজেলার কৃষকেরা বোরো মৌসুমে পর্যাপ্ত সেচের পানি পাচ্ছেন না। ফলে বোরো মৌসুমে সেচের জন্য ব্লক ম্যানেজারদের দ্বিগুন টাকা দিতে হচ্ছে চাষীদের। এছাড়াও খালগুলো মরে যাওয়ায় দেশীয় প্রজাতের মাছের সংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। পানি নিস্কাসন না হওয়ায় একটু বৃষ্টি হলেই শহরের ন্যায় গ্রামের বাসাবাড়ি, হাট-বাজার পানিতে তলিয়ে থাকে।

সূত্রমতে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রতিক্রিয়া মোকাবেলা, কৃষকদের সেচ সুবিধা, দেশিয় প্রজাতের মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধি ও পানি নিস্কাসনের জন্য উত্তর বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু তার ইউনিয়নের মরা খালগুলোতে পানি রির্জাভ সৃষ্টির পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আ’লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর একান্ত প্রচেষ্ঠায় বিএডিসি’র অর্থায়নে ইতোমধ্যে ইউনিয়নের কয়েক কিলোমিটার খাল খনন করা হয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন হিসেবে খালগুলো সুষ্ঠভাবে খনন ও খালের পাশের অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়ে জনসাধারনের মধ্যে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু। ফলে বিএডিসি’র প্রধান প্রকৌশলী মোঃ হাফিজউল্লাহ চৌধুরী ও চীফ এ্যাডিশনাল মোঃ জাফর উল্লাহ খানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অতিসম্প্রতি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে চেয়ারম্যান পিকলুর ভূয়শী প্রশংসা করেন। তারা ইউনিয়নের বাকি খালগুলোও খননের আশ্বাস প্রদান করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ইউনিয়নের বিল্বগ্রাম থেকে নরসিংহলপট্টি এলাকার এক কিলোমিটার মরা খাল খনন কাজ শুরু করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান পিকলু বলেন, ইউনিয়নের খালগুলোকে দখলমুক্ত করে গভীরতা ফিরিয়ে আনার কাজ চলমান রয়েছে। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে মরাখালে যেমন ফিরে আসবে যৌবণ, তেমনি বোরো মৌসুমে সেচের জন্য চাষীদের আর ব্লক ম্যানেজারদের দ্বিগুন টাকা গুনতে হবেনা। সময়মতো চাষীরা সেচ সুবিধা পেয়ে বাম্পার ফলন ফলাতে সক্ষম হলেই কৃষকের মুখে ফুটবে হাসি।



মন্তব্য চালু নেই