গ্যাসের জন্য হাহাকার

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। এর ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন গৃহিনীরা। বাসার পাশাপাশি সিএনজি স্টেশনগুলোতেও গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে।এজন্য স্টেশনগুলোতে যানবাহনের দীর্ঘ সারি লক্ষ্য করা গেছে।গভীর রাত পর্যন্ত সিএনজি স্টেশনগুলোতে গাড়ির দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।গ্যাস না পেয়ে গাড়ির চালকরা গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট।বাসার রান্না থেকে সিএনজি স্টেশন সর্বত্র গ্যাসের জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে।

রাজধানীর মগবাজারের বাসিন্দা জাহানারা জানান, সকালে চুলা ধরাতে গিয়ে দেখি গ্যাস নাই। পাইপলাইন থেকে গ্যাস যেন উধাও হয়ে গেছে। একটি ডিম পোজ করতে গিয়ে ৩০ মিনিটের মতো সময় লেগেছে। আগে কম গ্যাসে কোনো রকম রান্না করা গেলেও তাও বন্ধ হয়ে গেছে। রান্না না হওয়ায় দুপুরে খাবার কিনে খেতে হয়েছে।

মৌচাক এলাকায় থাকেন শাহনাজ পারভীন, যিনি একটি প্রাইভেট ব্যাংকে চাকরি করেন। তিনি বলেন, সারাদিন চাকরি শেষে ক্লান্ত হয়ে বাসায় এসে দেখি গ্যাস নেই। মধ্য রাতে গ্যাস আসলেও পরিমাণে অনেক কম, যা দিয়ে রান্না করা অসম্ভব।

আগারগাঁওয়ের শাপলা হাউজিংয়ের বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম জানান, তারা গত দেড় মাস ধরে দিনে ২ থেকে ৩ ঘণ্টার জন্য গ্যাস পেতেন। কিন্তু গত দুইদিন ধরে একদমই পাচ্ছেন না। যার ফলে পরিবার নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।

এছাড়া রাজধানীর উত্তরা, বাসাবো, রুপায়ন, শেওড়াপারা, কুড়িল, কাজিবাড়ি, বসুন্ধরা, রামপুরা, বনশ্রী, কাফরুল, বাড্ডা, যাত্রাবাড়ী, কল্যাণপুর মতিঝিল এলাকায় গ্যাস যেন দুর্লভ জিনিসে পরিণত হয়েছে।

এদিকে বাসাবাড়ির পাশাপাশি সিএনজি স্টেশনগুলোতেও তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। গ্যাস নিতে এসে গ্যাস না পাওয়ায় অধিকাংশ স্টেশনে গাড়ির দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা গেছে। সড়কে দেখা দিয়েছে তীব্র পরিবহন সংকট। এ সুযোগে বেড়েছে গণপরিবহন ভাড়া। গ্যাস সমস্যা কতদিন চলবে কেউ জানেন না।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তীব্র শীতের কারণে লাইনের ভেতরে থাকা গ্যাস অতিরিক্ত ঠান্ডায় জমে যাচ্ছে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবে গ্যাস সরবরাহ ব্যহত হচ্ছে। শীতের তীব্রতা কিছুটা কমলেই গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানান তারা।



মন্তব্য চালু নেই