গ্রহাণুপুঞ্জ, রোবোট ও ভাইরাসের মারাত্মক ঝুঁকিতে বিশ্ব

হাণুপুঞ্জ, রোবোট এবং মারণাত্মক ভাইরাস পৃথিবীতে মানবজাতির অস্তিত্ব বিলুপ্ত করার ক্ষমতা রাখে বলে বলছেন ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।

তারা বলছেন এর পাশাপাশি রয়েছে পরিবেশের বিপর্যয় সৃষ্টিকারী পরিবর্তন, পারমাণবিক যুদ্ধ আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

মানবজাতিকে ধ্বংস করার জন্য এসব যে কত মারাত্মক ঝুঁকি তা অনেকেরই চিন্তার বাইরে, কিন্তু এটা বাস্তব সম্ভাবনা।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল চ্যালেঞ্জেস ফাউন্ডেশান এবং গ্লোবাল প্রায়োরিটিস্ প্রজেক্ট তাদের এক রিপোর্টে বলছে মানবজাতির জন্য মারাত্মক এইসব ঝুঁকির মোকাবেলায় সরকারগুলোর যথাযথ প্রস্তুতি নেই।
তাদের এই প্রতিবেদন বলছে এসব ঝুঁকির কারণে বিশ্বের দশ শতাংশেরও বেশি জনগোষ্ঠি নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে।
150423022742_ebola_virus_640x360_sciencephotolibrary_nocredit
বর্তমান বিশ্বে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন মারণাত্মক ভাইরাসের ঝুঁকি।

গ্লোবাল প্রায়োরিটিস্ প্রজেক্ট-এরপরিচালক স্টিফেন ফারখার বলছেন, ”বিশ্ব বাস্তবেই এসব ঝুঁকির দ্বারপ্রান্তে, এসব কিছুই হয়ত এক বছরে ঘটবে না, কিন্তু এগুলো ঘটনার সম্ভাবনা খুবই বাস্তব, এবং এধরনের বিপর্যয় আমাদের বিশ্বকে আমূল বদলে দিতে পারে এবং সেই বদল হবে এক ভয়ঙ্কর বিধ্বংসী পথে।”

এধরনের বিপর্যয়ের অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে সব প্রজন্মের মানুষ যায় না, তাই অনেকের এর ভয়াবহ পরিণাম উপলব্ধি করেত পারে না বলে রিপোর্টে হুঁশিয়ার করা হয়েছে।

১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লুতে লাখো লাখো মানুষ মারা গিয়েছিল উল্লেখ করে মিঃ ফারখার বলেছেন, ”ইতিহাস আমাদের দেখিয়েছে এসব আশংকা অমূলক নয়, আমরা ভাবি এসব ঘটার বাস্তব সম্ভাবনা কম- কিন্তু তা সঠিক নয়।”

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে অাগামী পাঁচ বছরে মানবজাতির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকী আসতে পারে গ্রহাণুপুঞ্জের আঘাত, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত এবং ”অজ্ঞাত ঝুঁকি” থেকে।
160219150523_volcano_640x360_francisconegron_nocredit
অগ্নুৎপাত, গ্রহাণুপুঞ্জের আঘাত ছাড়াও আছে নানা ”অজ্ঞাত ঝুঁকি”।

এর মধ্যে কিছু ঝুঁকি প্রাকৃতিক, তবে কিছু ঝুঁকি মানুষের তৈরি, যেমন জলবায়ুর মারাত্মক পরিবর্তন।
রিপোর্টে বলা হয়েছে বর্তমান বিশ্বে বিজ্ঞানের অগ্রগতিও নতুন নতুন মারাত্মক ঝুঁকির জন্ম দিয়েছে যার মধ্যে আছে পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদন এবং জীববিজ্ঞানের নানা কৃত্রিম কর্মকাণ্ড যার থেকে তৈরি হচ্ছে নতুন ধরনের মারণাত্মক ভাইরাস।

এই প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এসব ঝুঁকির বাস্তবতা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তা মোকাবেলায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই