গ্রামীণ ব্যাংককে ‘মানুষ’ করতে চান অর্থমন্ত্রী

গ্রামীণ ব্যাংককে নতুন আঙ্গিকে সাজানোর কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। জানান, ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে প্রতি সপ্তাহে কিস্তি আদায়ের নীতি থেকে সরতে চান তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন,‘এই ব্যাংকটিকে মানুষ করা দরকার। এটি আগে যে অবস্থায় ছিলো সেখান থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। আমরা এটাকে আরো পুনরুজ্জীবিত করতে চাই।’

রবিবার সকালে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানানোর সময় অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় তিনি কেক কাটেন। এবং কর্মকর্তারা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন,‘গ্রামীণ ব্যাংকে আগের মতো প্রতি সপ্তাহে কিস্তি দেয়ার প্রয়োজন নেই। যখন ব্যাংকটি শুরু হয় তখন দুটি উদ্দেশ্য ছিলো। এক. ক্ষুদ্রঋণ দেয়া। দ্বিতীয়ত. ঋণের টাকা উত্তোলনের অভ্যাস গড়ে তোলা। এতদিনে মানুষে সে ব্যাপারে অভ্যস্ত হয়ে গেছে।

ক্ষুদ্রঋণ প্রদানে বাংলাদেশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে সরকারের সম্পর্কেট টানাপড়েন চলছে গত কয়েক বছর ধরেই। বিশেষ করে ২০১১ সালে বয়সসীমা পার হয়ে যাওয়ার পর প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মুহম্মদ ইউনুসকে সরিয়ে দেয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইউনুস উচ্চ আদালতে গিয়েও হেরে যান।

ড. ইউনুস সরে গেলেও গ্রামীণ ব্যাংকে নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছেন বলে নানা সময় জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। আর এ কারণেই ব্যাংকটি নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন,‘গ্রামীণ ব্যাংক কমিশনের কাছে আমরা কীভাবে এটাকে সাজানো যায় সে ব্যাপারে সুপারিশ করেছি। আমরা প্রতিষ্ঠানটিকে নতুনভাবে সাজাতে চাই।’

ড. ইউনুস সরে যাওয়ার পর গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় উন্নতি হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি জানান, খেলাপী ঋণের ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আগে ৪০ ভাগ ঋণ খেলাপি ছিলো।এখন ৯ থেকে ১০ ভাগ খেলাপি। এটা যুক্তিসঙ্গত।’

নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ

গত অর্থবছর সরকারের জন্য ছিল বেশ স্বস্তিকর। আগামী বছরেও িএই স্বস্তি অটুট থাকবে বলে আশাবাদী অর্থমন্ত্রী। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘নববর্ষে আমাদের নতুন চ্যালেঞ্জ বিনিয়োগ বাড়ানো। বিনিয়োগ এখনো অনেক দুর্বল অবস্থায় আছে। তাই এটা বাড়ানো ২০১৭ সালের বড় চ্যালেঞ্জ।’

ঢাকা ছিল ডেডসিটি

প্রতি বছর বর্ষবরণের থার্টি ফার্স্ট নাইটে বিশ্বজুড়ে নানা আয়োজন থাকলেও বাংলাদেশে পুলিশ উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা দেয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে। এ কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে কোনো জমায়েত হয়নি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য দুর্ভাগ্য। আমরা বছরের শেষদিনগুলো উদযাপন করতে পারি না। কালকে রাত আটটা থেকে মনে হয়েছে গোটা সিটি স্তব্ধ হয়ে গেছে। মনে হয় ডেড সিটিতে বাস করছি।



মন্তব্য চালু নেই