গ্রিক ট্র্যাজিডির নতুন অধ্যায়

আড়াই হাজার বছর মাটির নিচে চাপা পড়ে ছিল এক গ্রিক নগরীর ইতিহাস। নগরের বাসিন্দাদের গণকবর দেওয়া হয়েছিল মাটি চাপা দিয়ে। এ শুধু ইতিহাস নয়, বিশ্বের মর্মান্তিক ট্র্যাজিডিগুলোর মধ্যে একটি।

প্রতœতাত্ত্বিকরা এই নগরী খননের মাধ্যমে অবমুক্ত করেছে। যা থেকে প্রথমবারের মতো প্রাচীন গ্রিসের একটি পূর্ণাঙ্গ নগরী সম্পর্কে জানার সুযোগ হয়েছে। এর আগে গ্রিসের যেসব নগরীর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে, তা থেকে একটি সম্পূর্ণ নগর বা শহরের ধারণা পাওয়া যায়নি।

খননকাজ শেষে প্রততাত্ত্বিকরা জানিয়েছেন, হয়তো উত্তর আফ্রিকার শাসকরা খ্রিষ্টপূর্ব পাঁচ সালে সেলিনানটে শহরে আগ্রাসন চালায়। শহরবাসীকে বন্দি করে মাটি ও বালি দিয়ে চাপা দেওয়া হয়। সেই যে চাপা পড়ে, আর তাদের খবর পাওয়া যায়নি ২ হাজার ৫০০ বছরেও। উত্তর আফ্রিকার শাসকরা হয়তো শুধু ভূখ- দখল করে গণকবরের ওপর কিছু দিন শাসন কায়েম করে।

গ্রিসের পোম্পেই নগরীর ধ্বংস হওয়া কথা জানা গেছে। ভয়াবহ আগ্নেয়গিরির লাভা ও ছাইয়ের নিচে ঢাকা পড়ে পুরো পোম্পেই নগরী। কিন্তু সেলুনানটে নগরী মাটি চাপা দেয় মানুষ। যাকে বলা যায়, গ্রিক ট্র্যাজিডির অজানা অধ্যায়।

সেলিনানটে শহর আবিষ্কারের ফলে প্রাচীন গ্রিসের কোনো শহরের অর্থনীতি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে নগরের অবকাঠামো সম্পর্কেও স্বচ্ছ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে।

বন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও খননকাজের পরিচালক মার্টিন বেন্টজ এ সম্পর্কে বলেছেন, সেলিনানটে হচ্ছে একমাত্র ক্লাসিক্যাল গ্রিক শহর, যা মাটি ও বালির নিচে পুরোপুরি সংরক্ষিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এ থেকে আমাদের জানার সুযোগ হয়েছে, কীভাবে প্রাচীন গ্রিসের শহরগুলো পরিচালিত হতো।

তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইন।



মন্তব্য চালু নেই