গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিতে বাংলাদেশ

মাঠে নামার আগেই সুসংবাদটি পেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। তাই বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের গ্রুপর্বের শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল এক প্রকার আনুষ্ঠানিকতাই। তবে ওই ম্যচে দুদলের হাড্ডহাড্ডি লড়াইয়ে নিজেদের শেষ ম্যাচে গোলশূন্য ড্রয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেমিফাইনালে উঠেছে মামুনুল-এমিলিরা।

বাংলাদেশ মাঠে নামার আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে আসর থেকে বিদায় নেয় মালয়েশিয়া। এর আগেই লঙ্কানদের বিদায় নিশ্চিত হওয়ায় সেমির টিকিট নিশ্চিত হয় বাংলাদেশ ও নেপালের। ফলে, গ্রুপ ‘এ’র চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে নেপালের বিপক্ষে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মাঠে নামে মারুফুল হকের বাংলাদেশ।

চেনা মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই দারুণ আক্রমনে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু গোলের খেলা ফুটবলে গোলের দেখা পায়নি তারা। নেপালের বিপক্ষে এক মাস আগে খেলা বাংলাদেশের ওই ম্যাচটাও কিছুটা প্রানবন্ত ছিল। কিন্তু শুক্রবারের ম্যাচটি বেশ ফ্যাকাসে মনে হয়েছে। গোলের জন্য দারুণ সব সুযোগ তৈরীর পর ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় লক্ষ্যভেদের সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের গোলের অপেক্ষায় ছিল দর্শকরা।

নেপালের বিপক্ষে এই ম্যাচে যেন কিছুটা প্রান পেয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল। গ্যালারিতে দর্শকদের উপস্থিতি ছিল অন্য ম্যাচের চেয়ে বেশ সাড়া জাগানো। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধেও তাদের উচ্ছ্বাসে ভাসাতে পারেনি বাংলাদেশ ফুটবলাররা। বিরতির পর শুরুতেই জোরালো আক্রমণ করে লাল সবুজের জার্সিধারীরা। ম্যাচের ৪৯তম মিনিটের মাথায় হেমন্ত ভিনসেন্টের একটি শট প্রতিহত করে নেপালের গোলরক্ষক।

দ্বিতীয়ার্ধে নেপালও বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরী করে। তবে কাঙ্খিত গোলের দেখা না পাওয়ায় শেষপর্যন্ত গোলের জন্য হাহাকার করতে হয়েছে তাদেরকেও। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত গোল না হওয়ায় সমতা নিয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে তারা।



মন্তব্য চালু নেই