‘গ্রেপ্তার জেএমবি সদস্যরা বোমা সরববাহ করতো’

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ছানোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, রাজধানীর শাহ আলী থানাধীন মিরপুর-১ নম্বর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার জেএমবি সদস্যরা বোমা বানিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জঙ্গি সংগঠনের কাছে সরবরাহ করতো।

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে শুক্রবার দুপুরে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ছানোয়ার হোসেন বলেন, জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সামরিক শাখার প্রধান আলবানি গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিক্তিতে জেএমবি সদস্য আবু সাইদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার তথ্যের ভিক্তিতে বৃহস্পতিবার মিরপুরের আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার জেএমবি সদস্যরা তাদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার জন্য আসন্ন পৌর নির্বাচন, বিশেষ দিনগুলোতে বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করে আসছিল।

গত বুধবার মধ্য রাত থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত মিরপুর-১ এর ৯ নম্বর সড়কের ৩ নম্বর ভবনের জঙ্গি আস্তানায় শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে ভবন থেকে জেএমবির ছয় সদস্যকে আটক করা হয়। এর আগে বুধবার জেএমবির এক সদস্যকে আটক করা হয়। যার কাছ থেকে তথ্য পেয়ে আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে হাতে তৈরি ১৬টি গ্রেনেড (আইইডি—ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস), অস্ত্র, গ্রেনেড তৈরির প্রচুর উপকরণ।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কর্মকর্তারা বলেন, আগের রাতের একজনসহ গ্রেপ্তার সাতজনের মধ্যে তিন জন নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। অন্য চারজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে। এই চারজন পাশের ফ্ল্যাটে থাকতেন।

গ্রেপ্তার জেএমবির তিন সদস্যের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেনি পুলিশ। ডিবির কর্মকর্তারা কেবল জানান, তিনজনই বয়সে তরুণ। এদের একজন গ্রেনেড তৈরির মূল কারিগর। তার বাড়ি উত্তরবঙ্গে। তারা ওই বাসাটি গ্রেনেড ও বোমা তৈরির কারখানা হিসেবে ব্যবহার করছিল।



মন্তব্য চালু নেই