ঘরের যে সকল কাজে স্বামীর সহযোগিতা চান প্রত্যেক নারী

অনেক পুরুষই রয়েছেন যারা সারাদিন কাজ শেষে ঘরে ফিরে হাত পা ছড়িয়ে বিছানায় পড়তেই বেশী ভালোবাসেন। স্ত্রী যদি চাকুরীজীবীও হয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু নারী হিসেবে এই ধরণের কাজটি করতে পারেন না। এমনকি যারা গৃহিণী রয়েছেন তারাও কিন্তু সারাদিন ঘরের কাজ করে আপনার সংসারটিই সাজিয়ে গুছিয়ে রাখেন। তাই এমনটি ভাবার অবকাশ নেই যে তারা কোনো কাজ করেন না। আর তাই চাকুরীজীবী হোক বা গৃহিণী হোক না কেন প্রত্যেক নারীই স্বামীর কাছ থেকে সংসারে একটু সাহায্য কামনা করে থাকেন। সংসারের দুজন মানুষের মধ্যে অনেক বেশী সখ্যতা গড়ে উঠে পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমেই। তাই স্বামীদেরকেও একটু এই ব্যাপারে নজর দেয়া উচিত। বিশেষ করে স্ত্রীও যদি চাকুরীজীবী হয়ে থাকেন তাহলে তো আরও গুরুত্ব দেয়া উচিত সংসারের কাজে সাহায্য করার ব্যাপারে।

১) স্বামী যেনো একটু গুছিয়ে থাকেন

নারীদের তুলনায় পুরুষেরাই ঘরদোরের জিনিসপত্র বেশী এলোমেলো করেন এটা নতুন কিছু নয়। স্ত্রীরা কিন্তু স্বামীদের বলেন না সংসার গুছিয়ে দিতে তিনি শুধু এতোটুকুই চান যে, স্বামী যেনো ঘরদোর একটু কম নোংরা করেন। এবং নোংরা হয়ে গেলেও নিজেদেরটা নিজেরাই পরিষ্কার করে নিক।

২) রান্নাঘরে সামান্য সহযোগিতা

আপনাকে পুরো রান্না করে দিতে হবে না। আপনি যদি পাশে দাড়িয়ে থেকে একটু মিষ্টি কথা বলেন নিজের স্ত্রীকে। আর এই কথার ছলে যদি এটা ওটা এগিয়ে দিয়ে থাকেন তাহলেও স্ত্রীকে অনেক বেশী সহযোগিতা করা হবে। আর যদি চাকুরীজীবী স্ত্রী হয়ে থাকেন তাহলে একটু বেশীই নাহয় সহযোগিতা করলেন নিজের স্ত্রীকে।

৩) বাজারে সহযোগিতা

অনেক পুরুষই নিজে থেকে দায়িত্ব নিয়ে বাজার করে আনেন। কিন্তু অনেকেই এই কাজটি ছেড়ে দেন স্ত্রীর উপরে। ছেড়েই না হয় দিলেন কিন্তু যদি তার সাথে থাকেন বাজার করার সময় তাহলেও কিন্তু আপনার স্ত্রী অনেক বেশী খুশি হয়ে যাবেন। আর তিনি এতোটুকুই আশা করেন আপনার কাছ থেকে।

৪) ঘরের গাছগুলোর একটু যত্নআত্তি

অনেকেই শখ করে বাগান করেন ঘরে, আবার বাগান করার ধৈর্য না থাকলেও কয়েকটি গাছপালা রাখেন নিজের ঘরে। এই গাছগুলোর যত্ন করার দায়িত্ব কিন্তু শুধুমাত্র আপনার স্ত্রীর উপরেই বর্তায় না। ৫ টি মিনিট বের করে যদি একটু পানি দিয়ে দেন তাতেই স্ত্রীর অনেক সাহায্য হয়ে যাবে।

৫) সন্তান থাকলে তাদের একটু সময় দেয়া

যদি ঘরে সন্তান থাকে তাহলে চাকুরীজীবী হোক বা গৃহিণীই হোক না কেন স্ত্রীরা চান ঘরে ফিরে স্বামী তার সন্তানদের সাথে একটু সময় কাটান। তাদের পড়ালেখায় একটু হলেও সাহায্য করুক। এতে অনেক বড় একটি কাজের দায়িত্ব পালন করা হয়ে যাবে।

সূত্র: বলিউডশাদী



মন্তব্য চালু নেই