ঘরে বসেই কাটছে নায়করাজের দিন

নায়করাজ রাজ্জাক। পঁচাত্তর পেরিয়েছেন বেশ আগেই। কড়া নাড়ছেন ছিয়াত্তরের দরজায়। জীবনের বেশিরভাগ সময়ই কাটিয়ে দিয়েছেন অভিনয়ে। তাই সিনেমার সঙ্গে তার সখ্যতাটা অবিচ্ছেদ্য। অভিনয় ছেড়ে থাকাটা তার কাছে যন্ত্রণার। এখনো অভিনয়ের জন্য মুখিয়ে থাকেন তিনি। কিন্তু শরীরটা বিদ্রুপ করে ইদানীং। সেকারণে চাইলেও অভিনয় করতে পারছেন না। কয়েকদিন আগে একটু সুস্থ হওয়ার পরপরই পরিচালকরা বেশ কিছু কাজের প্রস্তাব দেন তাকে। কিন্তু ‘না’ করে দিয়েছেন।

আপাতত সময়গুলো নিজের জন্যই বরাদ্দ রাখছেন। অভিনয়ের বাইরের সময়গুলো পরিবার, নাতি-নাতনীদের সঙ্গে কাটছে তার সময়গুলো। এখন তার হাতে প্রচুর সময়। শুটিংয়ে ঠিক টাইমে যাওয়ার তাড়া নেই। তাড়া নেই মেকাপ নেয়ার অথবা স্ক্রিপ্ট মুখস্ত করার। তবে ঘুরতে ভালোবাসেন তিনি।

তার ছোট ছেলে সম্রাট জানালেন, একটু সুযোগ পেলেই বাবা বাইরে ঘুরতে যেতে চান বাবা। পরিবারের সবাইকে নিয়ে কয়েকদিন আগেই পিকনিকে গিয়েছিলাম ঢাকার বাইরে। আর বাকি সময়গুলো বাড়িতেই কাটান তিনি।’

গত বছরের জুনে ভয়াবহভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এসময় তার শরীরের ওপর দিয়ে এ সময় যেন রীতিমতো ঝড়ই বয়ে গিয়েছিল। আইসিইউতে ছিলেন বেশ কয়েকদিন। মাস খানেক পর কিছুটা সুস্থ অনুভব করলেই শুটিংয়ে ফেরেন। অভিনয় করেন ছেলে সম্রাটের নির্দেশিত ‘দায়ভার’ নাটকে। টেলিছবিটিতে তার সহশিল্পী ছিলেন ডলি জহুর, বাঁধন এবং সম্রাট। তারপর দীর্ঘদিন বিরতির পর সর্বেশেষ জাকারিয়ার রচনায় ও সম্রাটের পরিচালনায় ‘চেয়ারম্যানের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র’ টেলিছবিতে চেয়ারম্যানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এরপর তাকে আর ছোট পর্দায় দেখা যায়নি।

রাজ্জাক সর্বশেষ নির্মাণ করেছেন চলচ্চিত্র ‘আয়না কাহিনী’। সর্বশেষ তিনি অভিনয় করেছেন বাপ্পারাজ পরিচালিত ‘কার্তুজ’ চলচ্চিত্রে।



মন্তব্য চালু নেই