ঘাটাইলে আ’লীগের ৩৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা পরিষদ ভাংচুরের অভিযোগে ঘাটাইল থানায় মামলা না নেওয়ায় রবিবার সকালে টাংগাইল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ঘাটাইল আমলী আদালতে উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খান সামু বাদী হয়ে ৩৭ আ’লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে (দ্রুত বিচার) আইন, ২০০০ (সংশোধিত) ২০০৪ এর ৪/৫ ধারায় মামলা রুজু করেছে। গত মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) ঘাটাইল থানায় মামলা করতে গেলে মামলা না নেওয়ায় আদালতের সরনাপন্ন হয়ে এ মামলা দায়ের করেন বলে নথিপত্র থেকে জানা যায়।

দায়েল করা মামলার আসামীরা হলেন- সাবেক উপজেলা আ’লীগের আহবায়ক মোঃ শহিদুল ইসলাম লেবু (৫১), যুগ্ম আহবায়ক মোঃ শহিদুজ্জামান খান শহীদ (৪৭), সন্ধানপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আঃ রহিম (৫০), সাবেক জিবিজি কলেজ শাখার ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ আবু সাইদ রুবেল ্র্র্র্র্র্র্র (২৭) সহ আরো ৩৭ জন শহিদুল ইসলাম লেবুপন্থি ঘাটাইলের আওয়ামীলীগ নেতা।

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খান সামু এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানের কক্ষে ভাংচুর করলে থানায় মামলা করতে গেলে না নেওয়ার দরুন আমি আদালতের সরনাপন্ন হয়ে ৩৭ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে মামলা দায়ের করি।

এ ব্যাপারে ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম লেবু ও ঘাটাইল জিবিজি কলেজের সাবেক ভিপি শহিদুজ্জামানের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তহীন এই দিন এ ধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি। ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান জানান, শুনেছি উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেব আদালতে মামলা করেছেন এ সংবাদর্টি লেখা পর্যন্ত আদালত থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এখনো পাইনি।

উল্লেখ্য টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় স্থানীয় এমপি আমানুর রহমান খান রানা নয় মাস যাবৎ আত্মগোপনে রয়েছেন। এমপি রানা এলাকা ছাড়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগের ২ গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছে।



মন্তব্য চালু নেই