ঘাটাইলে সরকারি রাস্তা দখল করে পরিচালিত হচ্ছে হাট-বাজার

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও মহাসড়কগুলো দখল করে প্রতিনিয়তই বসছে উপজেলার বিভিন্ন সাপ্তাহিক ও দৈনিক বাজার। এর ফলে বাড়ছে জন দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে যানযট।
বিশেষ করে উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চলের হাট বাজারগুলো সরকারি সড়ক দখল করে পরিচালিত হচ্ছে। সড়ক দখল করে বসানো হাট-বাজার গুলো হল,আনারস,কাঠাল, কলা ও সব্জির প্রধান হাট গারোবাজার, সাগরদিঘী, জোড়দিঘী, ধলাপাড়া, চাপড়ি, দেওপাড়া, ছনখোলা। এছাড়া টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দখল করে পাকুটিয়া, ব্রাহ্মণশাসন, কদমতলী, হামিদপুর, ঘাটাইল সদর হাট পরিচালিত হচ্ছে।
বর্ষা মৌসুমে গারোবাজার ও সাগদিঘী বাজারে যানজট চরম আকার ধারণ করে। ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল ,মধুপুর ও ফুলবাড়ীয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী বৃহত্তম বাজার গারোবাজার। উপজেলা, জেলা সদর ও বিভাগীয় শহরের সাথে যোগাযোগ করার পাঁচটি পাকা রাস্তার সংযোগস্থলে এ বাজারটি অবস্থিত। সাত একর জায়গার উপর বাজারটি প্রতিষ্ঠিত হলেও সরকারি পেরিফেরিভুক্ত জমি প্রভাবশালী ভূমি দস্যুদের দখলে থাকায় পাঁকা সড়কের উপর বসছে আনারস,কাঠাল কলা ও মৌসুমী সব্জির বাজার। একটি বাস স্টেশন,তিনটি সিএনজি স্টেশন, তিনটি অটোবাইক স্টেশন, তিনটি মেক্সি স্টেশন, আটটি ট্রাক অফিস,তিনটি কুলিমজদুর অফিস ও দুটি প্রকৌশল অফিস এ বাজারের সড়কের পাশেই গড়ে উঠেছে। সড়ক দখল করে হাট-বাজার বসানোর ফলে প্রতি হাট বারেই ঢাকা-কাকরাইদ ভায়া গারোবাজার সড়কে দীর্ঘ ৪/৫কিঃমিঃ সড়কে যানযটের সৃষ্টি হয়।
গত ২৮ জুন গারোবাজার হাটে গিয়ে দেখা যায়,যানযটের কারনে সড়কে প্রায় ছয় ঘন্টা যাবৎ যান যোযোগ বন্ধ রয়েছে। ফলে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।এ দূর্ভোগের শিকার সিএনজি যাত্রী অসুস্থ বাদশা মিয়া,ক্ষোভের সাথে বলেন,ডাক্তার দেহাইতে ময়মনসিংহ যামু সকাল দশটা থিকা আইটকা আছি, অহন বাজে একটা, কহন যামু ,ডাক্তারই বা দেহামু কহন। তিনি আরো বলেন, ভাই যারা বাজার দহল করে তারাই সড়কে বাজার বহায়,বাজার ইজারা নেয়,তারাই নেতা ,তারাই সরকার,পাবলিকের কষ্ট বোজনের কেউ নাই।
একই অবস্থা টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দখল করে বসা পকুটিয়া, ব্রাহ্মণশাসন, কদমতলী, হামিদপুর, ঘাটাইল সদর হাটের।এ সকল হাট-বাজার সপ্তাহে দুইদিন বসে। এ ফলে প্রায় প্রতিদিনই মহাসড়কের এসব এলাকায় ব্যাপক যানযটে চরম ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা ।
এ ব্যাপারে উপজেলা হাটবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ঘাটাইল উজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আছমা আরা বেগম বলেন,সমস্যাটি মৌসমিী, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সাথে কথা বলে, এ সমস্যা স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই