ঘাতক শিকারি ঠেকাতে গণ্ডারের দেহে ক্যামেরা!

পোচিং নামে পরিচিত অবৈধ শিকার এবং নির্মম হত্যার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য এবারে গণ্ডারের দেহে ক্যামেরাসহ একটি ক্ষুদ্র নজরদারি ব্যবস্থা বসানো হবে। কেবল গণ্ডার নয় বরং হাতি বা বাঘের মতো হুমকির মুখে পড়েছে যে সব প্রাণী তাদের দেহেও বসানো যাবে এ নজরদারি ব্যবস্থা ।

প্রোটেক্ট ‘র‍্যাপিড’ বা রিয়েল টাইম অ্যান্টি পোচিং ইন্টেজেলিজেন্স সার্ভিস নামের এ নজরদারি ব্যবস্থায় রয়েছে ওয়েব-ক্যাম, জিপিএস সেন্সর এবং হার্ট মনিটর । প্রাণী দেহে বসানোর পরই এটি অবস্থান জানানোর সঙ্গে সঙ্গে ভিডিও পাঠাতে থাকে নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে পাঠাতে থাকবে। ২৪/৭ অর্থাৎ সপ্তাহের সাতদিন এবং দিনরাত ২৪ ঘণ্টা এটি তৎপর থাকবে।

দেহে লাগানো হলে প্রাণীর তাতে বিন্দুমাত্র অসুবিধা হবে না বা এটির উপস্থিতি টের পাওয়া যাবে না। ঘাতক শিকারিদের তাড়াসহ অন্য যে কোনো কারণে প্রাণীর হৃদপিণ্ডের অস্বাভাবিক হারে তৎপর হলে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হুশিয়ারি সংকেত পাঠাবে এ নজরদারি ব্যবস্থা। আর তাতে দ্রুত ঘটনাস্থলে জনশক্তি পাঠিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হবে।

প্রাণী রক্ষায় তৎপর ব্রিটিশ একটি সংস্থা এ ব্যবস্থা বের করেছে। এরই মধ্যে পরীক্ষামূলক ব্যবস্থায় সুফল পাওয়া গেছে। প্রাণী রক্ষায় এটি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।



মন্তব্য চালু নেই