ঘুমের আগে কফি পান বেশি কার্যকরী!

সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনির পর বাসায় ফিরে এক মগ গরম আর ধোঁয়া ওঠা কফির স্বাদ জীভে যেমন না ছোঁয়ালেই নয়, ঠিক তেমন কথাটি সত্যি ঘুমের বেলাতেও। দিনের নির্দিষ্ট একটি সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘুম না হলেও শরীর অচল হতে বাধ্য। কিন্তু এ দুটোকে সবসময়ই বেশ একে অন্যের বিপরীতমুখী হিসেবে ভেবে এসেছেন সবাই। সত্যিই তো! ঘুমের আগে কফি পান করলে কি আর চোখের পাতা এক হয়? কিন্তু শুনলে অবাক হবেন যে বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি জানিয়েছেন ব্যাপারটি মোটেই সত্যি নয়। বরং কেবল ঘুমানোর চাইতে বা কফি পানের চাইতে ঘুমের আগে খানিকটা কফি পান করে নেওয়াটাই সবচাইতে বেশি কার্যকর!

কফি আর ঘুম (ন্যাপ) একে অন্যের উল্টো হলেও এদের প্রত্যেকেই একটি কাজ করে থাকে। আর সেটি হচ্ছে মস্তিষ্কের অ্যাডেনোসিন হরমোনকে দূর করা। যেটি কিনা মানুষের ভেতরে সবসময় ঘুমন্তভাব তৈরি করে। ঘুম সেটা করে একেবারে নষ্ট করে দিয়ে, আর কফি দূর্বল করার মাধ্যমে। নিশ্চয় শুনেছেন পাওয়ার ন্যাপের কথা? এটি হচ্ছে সেই প্রচন্ড শক্তিশালী ঘুম যেটা কিনা এক নিমিষে আপনার শরীরের সমস্ত ক্লান্তি ও ঘুমভাব অল্পসময়েই দূর করে দিতে পারে (লাইফহ্যাক)। আর সেটা একমাত্র সম্ভব যদি আপনি কফি আর ঘুম দুটোর ঘুমভাব প্রতিরোধকারী শক্তিকে একত্রিত করেন। এতে করে আমাদের শরীরে যে ঘুমন্ত আলসেমী থাকে সেটা চলে যায়। শরীর হয়ে ওঠে ফুরফুরে।

এই পদ্ধতিটি কেবল আপনার ঘুমভাবকেই কাটাবে না, বরং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলতে, সিদ্ধান্ত নিতে, স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এমনকি রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করবে। তবে তাই বলে ভাববেন না যে সবসময়েই এই পদ্ধতিটি কাজে দেবে। কফি আর ঘুমকে একসাথে কার্যকরীভাবে কাজে লাগানোর কেবল একটিই উপায় রয়েছে। আর সেটা হচ্ছে সময় মেনে চলা।

যেকোন সময় নয়, বরং ছোট একটা ঘুম দেবার আগে আগেই কফি পান করুন। কফির ক্যাফেইন সাধারণত মানুষের শরীর আর মস্তিষ্ককে ২০ মিনিট পর নাড়া দেয়। আর তাই আলস্য ভরে কফি না পান করে ঘুমোবার আগেই কফি পান করে নিন জলদি। তারপর দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ুন। এতে করে ২০ মিনিট পর যখন কফির ধাক্কাটা আপনার শরীরে লাগবে তখন আপনি একেবারে চনমনে হয়ে জেগে যাবেন (ডেইলি মেইল)। একদিকে ঘুম, অন্যদিকে ক্যাফেইনের ধাক্কা- এ দুটো সহজেই আপনাকে করে তুলবে একেবারে চনমনে শরীর আর মনের অধিকারী।



মন্তব্য চালু নেই