ঘুরে-ফিরে বিপিএলেও ভারত ম্যাচের প্রসঙ্গ

ভারতের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ইনিংসের শেষ ৩ বলে জয়ের জন্য মাত্র ২ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুস্তাফিজুর রহমান টানা তিন বলে আউট হলে অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচটি টাইগাররা হেরে যায়। হতাশায় ভেঙে পড়ে গোটা বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের স্মৃতি কিছুটা পুরনো হয়ে গেল। কিন্তু সোমবার ফের ফিরে এলো ব্যাঙ্গালোরের দুঃসহ স্মৃতি। বলা যায় মুশফিকই স্মরণ করিয়ে দিলেন।

সোমবার বিপিএলের ম্যাচে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে মুখোমুখি হয় বরিশাল বুলস ও চিটাগং ভাইকিংস। ইনিংসের শেষ ওভারে বরিশালের দরকার ছিল ৭ রান। ক্রিজে দলনায়ক মুশফিক। প্রথম বরে দুই রান নেয়ার পর দ্বিতীয় বলে চার মেরে স্কোর লেভেল করে ফেলে মুশি। তৃতীয় বলে কোনো রান নিতে পারেননি। তবে চতুর্থ বলে শর্ট থার্ড-ম্যান দিয়ে দারুণ এক চার হাঁকিয়ে বরিশালকে রোমাঞ্চকর জয় এনে দেন মুশফিক।

খেলা শেষে ভারত ম্যাচের প্রসঙ্গ আসতেই মুশফিক বলেন, ‘এখনও বলি সে ম্যাচে বল যে জায়গায় ছিল আমি যদি খুব ভালো ফর্মে থাকতাম তাহলে ওইটাও ছয়ই হতো। এখন যদি ওই জায়গায় বল পেতাম আজকে হয়তো ছয়ই হতো। এটা ক্রিকেটের লাইফে এমন হতেই পারে। তবে আজকে আমি অনেক শান্ত ছিলাম। আমি জানি কোন জায়গাটায় বল আসবে। আমাকে এক্সিকিউশনটা করতে হবে। সেইদিক থেকে বলবো আমি সফল ছিলাম।’

আগের তিন ম্যাচে যথাক্রমে ৫০, ৩৩ ও ৮১ রান করেছিলেন মুশফিক। যে কারণে সোমবারের ম্যাচে আত্মবিশ্বাসও ছিল তার মনে। যেমনটা বললেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক, ‘শেষ তিনটা ম্যাচ ভালো খেলার কারণে আমার আত্মবিশ্বাস অনেক ভালো ছিল; এটা সত্যি। আর অপর প্রান্তে একজন সেট ব্যাটসম্যান ছিল যে এক রান হলেও ও আছে ও শেষ করতে পারবে। সব মিলিয়ে একটু শান্ত থাকার চেষ্টা করেছি।’

প্রসঙ্গত, মিরপুরের শের-ই-বাংলায় আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোরই দাঁড় করায় চিটাগং ভাইকিংস। জবাবে ব্যাটিংয়ে নামা বরিশাল শুরুতে ধুঁকতে থাকলেও শাহরিয়ার নাফিস ও ডেভিড মালানের দারুণ হাফসেঞ্চুরির ওপর ভর করে ২ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে।



মন্তব্য চালু নেই