ঘুষ নেওয়ার কথা স্বীকার ফিফার প্রাক্তন কর্মকর্তার

২০১০ সালে ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ঘুষ নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২০১০ বিশ্বকাপের আয়োজক করা হয়েছিল বলে স্বীকার করেছেন ফিফার প্রাক্তন কর্মকর্তা চাক ব্লাজের।

এ ছাড়া ১৯৯৬ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত আয়োজিত গোল্ডকাপে ব্রডকাস্টার ও অন্যদের কাছ থেকেও ঘুষ নেন ব্লাজের ও ফিফার অন্য নির্বাহী কর্মকর্তারা। অবশ্য ঘুষ দিয়ে বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রীড়ামন্ত্রী ফিকিলে এমবুলুলা।

ব্লাজের স্বীকার করেছেন, ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ আয়োজক নির্বাচনের সময় যে অবৈধ অর্থ লেনদেন হয়েছে, সেটার সঙ্গে তিনি নিজেও জড়িত ছিলেন। তিনি ছাড়াও আরো ১০ জন কর্মকর্তা এই কাজে জড়িত ছিলেন।

২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি জেলা জজ আদালতে শুনানির সময় এসব কথা স্বীকার করেন ব্লাজের। বুধবার তার জবানবন্দির নথি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার অবাধ দুর্নীতির বিষয়ে ব্যাপক তদন্ত চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি ধরপাকড়ও চালাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত ফিফা সভাপতি সেপ ব্ল্যাটার পদত্যাগ করেছেন। ইতিমধ্যে ফিফার ১৪ জন শীর্ষ কর্মকর্তার ৭ জন গ্রেফতার হয়েছেন।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে দুজন ফিফার ভাইস প্রেসিডেন্ট রয়েছেন। আরো ছয়জনের বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে ইন্টারপোল। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ফিফার শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গত ২৪ বছরে ১৫০ মিলিয়ন ডলার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে।

১৯৯০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ব্লাজের উত্তর ও মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের (কনকাকাফ) দ্বিতীয় শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ছিলেন। যিনি ফিফার নির্বাহী হিসেবে ১৯৯৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

দুর্নীতির বিষয়ে ব্লাজের বলেন, ‘শুরু থেকে, বিশেষ করে ২০০৪ সাল থেকে শুরু করে ২০১১ সাল পর্যন্ত আমি এবং ফিফার অন্যান্য নির্বাহী কর্মকর্তা দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২০১০ বিশ্বকাপের আয়োজক করে দিতে ঘুষ গ্রহণ করি। এ ছাড়া ১৯৯৬, ১৯৯৮, ২০০০, ২০০২ এবং ২০০৩ গোল্ডকাপের (জাতীয় দলের আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপ) ব্রডকাস্টার ও অন্যদের কাছ থেকে আমরা ঘুষ নিই।’

এদিকে সুইজারল্যান্ড ও আমেরিকার ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন অথরিটি ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ ও ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের আয়োজক নির্ধারণে ঘুষের আদান-প্রদান হয়েছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখছে।

তথ্যসূত্র : বিবিসি স্পোর্টস।



মন্তব্য চালু নেই