চবিতে ছাত্রলীগের উপর চড়াও পুলিশ : ২৯৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রোববার বেলা ১২ টার দিকে ভর্তিপরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের অভ্যর্থনায় লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা চূড়ান্ত সংঘর্ষে রূপ নেয়।

তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েকশ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ও টিয়ারশেল ছোড়ে।চবির ইতিহাসে পুলিশের নজীরবিহীন এ অভিযানে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ প্রায় ৩০-৪০ জন নেতা-কর্মী আহত হন।আটক করা হয় প্রায় ৩৫ জনকে।

বিকেলের দিকে শাহজালাল হলে ও শাহ আমানত হলে ব্যপক তল্লাশি চালানো হয়।ছাত্রদের কাছ থেকে মুঠোফোন কেড়ে নেওয়া ছাড়াও হলে ভাংচুর করা হয়। জানা যায়,ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ নেতাকর্মীসহ হলে অবস্থান করা সাধারণ শিক্ষার্থী ও ভর্তিচ্ছুদের উপর লাঠিচার্জ করা হয়। হাটহাজারী থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন আহত হওয়ার পরেই বেপরোয়া হয়ে উঠে পুলিশ সদস্যরা।এদিকে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তের জন্যে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর টিপু ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজনকে লাঞ্ছিত করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।ছাত্রলীগ সভাপতির মোটরসাইকেল ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।

গতকালের ঘটনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে বিরল ও নজিরবিহীন উল্লেখ করে ছাত্রলীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর টিপু বলেন,”ছাত্রদের উপর পুলিশের আগ্রাসী আক্রমনে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ স্তম্ভিত।ছোটখাট ভুল বোঝাবুঝি থেকে আমাদের নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ হলেও কেউ আহত হয়নি,কিন্তু পুলিশের অতর্কিত অ্যাকশানে আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়।আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।”

সংঘর্ষের পর থেকে ছাত্রলীগ কর্মীরা হলের বাইরে অবস্থান করছে।সংঘর্ষ চলাকালে সোমবার পুলিশের উপর হামলা ও দুই হলে তল্লাশী চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মোট ২৯৫ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে আসামী করে পৃথক তিনটি মামলা করেছে পুলিশ।
এ মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আবু তোরাব পরশকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানা যায়।

এদিকে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সফল করতে ক্যাম্পাস জুড়ে নেয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।সংঘর্ষের এ ঘটনা ভর্তি পরীক্ষায় কোন রকম প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিবাকদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই