এক হাজার হেক্টর কৃষিজমি অনাবাদের আংশকা

চরফ্যাশনে দশ হাজার মানুষকে পানিবন্দী করে খালে বাধঁ প্রভাবশালীদের

ভোলা প্রতিনিধি: ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানার চর কলমী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে পানি নিস্কাসনের খালে বাঁধসহ অবৈধ ভাবে জমিতে বাঁধ দেয়ার কারণে ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাসহ প্রায় ১ হাজার একর জমি পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ফলে জমিতে পানিবদ্ধ থাকায় অনাবাদী থাকার আশংকা দেখা দিয়েছে।

এছাড়া জোড় পূর্বক জমি ক্রয় বা অধিগ্রহণ না করে খামার এম, জে, সি নামক নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানকে চরফ্যাশন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিলেও বিবাদী কোন জবাব না দিয়ে মাটি কাটার (ভেকু) মেশিনে তরিৎ গতিতে কাজ অব্যাহত রেখেছে বলে জমির মালিক ও বাদী নুর মোহাম্মদ. রিয়াজ, রুহুল আমিন, হিরনা বেগম অভিযোগ করেন।

আদালতের দেওয়ানী মামলা নং ১৩৫/২০১৬ তারিখ ৪/৫/২০১৬ সুত্রে জানা যায়, এম, জে, সি এগ্রো লিমিটেড নামক নাম সবর্স্ব একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার আশায় আলমগীর পাটওয়ারী, সেলিম চৌধুরী, ও এম জে সি লিমিটেড, এগ্রো লিমিটেডের পক্ষে মেহেদি হাসান চর কলমী ইউনিয়নের উত্তর চর মঙ্গল এলাকার জেএল নং ১০৬ এর এসএ ৩৬৫ দাগ নং ১৫৪১, ১৫৭০, ১৫৩১, ১৪৪৯, ১৭২৯, এসএ ৩৯৪ খতিয়ানের ১৫৬৯, ১৫৭০, ১৫৭১, ১৫৭২, ১৫৭৩ এসএ ৫৪ খতিয়ানের ১৭২৩, ৩৬১ খতিয়ানের ১৫৩১, ১৭৩৯, ১৪৪৯, ১৭১৭, ১৭১৮, ১৭২৯, ১৩৬৫, ১৩৬৬, ১৫১১, ১৫১৩, ১৭০০, ১৭০২, ১৭০৩, ১৭৩৪, ১৭৩৬, ১৭৪৯, দিয়ারা ৯৮৭, ৯৮৮, ১২৪, ১০৩৮, ১৬৫১, ১৪২৪ খতিয়ানের মোট ৬ একর ১২ শতাংশ জমি ক্রয় বা অধিগ্রহণ না করে স্থানীয় প্রভাবশালীদের নাম ভাঙ্গিয়ে জোর পূর্বক মাটি কাটার চেষ্টা করলেও বাদী স্থানীয় চরকলমী ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারমানের নিকট বিবাদীদের বিরুদ্ধে তাদের ৩০/৪০ বছরের ভোগদখলীয় জমির ব্যাপারে নালিশ দায়ের করেন।

চেয়ারম্যানের নিকট বিচার চাওয়ার কারণে প্রভাবশালীদের (উপমন্ত্রী, উপজেলা চেয়ারম্যান) নাম ও স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তির সহযোগিতায় জমির মাটি কেটে খালে বাঁধ দেয়ার কাজ অব্যাহত রেখেছে।চর মঙ্গল এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফযেজ আহম্মদ জানান, জোর পূর্বক জমির মাটি কাটাসহ খালে বাঁধ দিলে ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা পানিবন্দী হওয়াসহ প্রায় হাজার একর জমি অনাবাদের আশংকার মধ্যে রয়েছে।

চরকলমী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আবাদী জমির মাটি না কাটার জন্য এম জে সি লিমিটেড, এগ্রো লিমিটেডের পক্ষে মেহেদি হাসানকে নিষেধ করা হলোও তিনি কর্ণপাত করছেন না।এ ব্যাপারে এম জে সি লিমিডেট, এগ্রো লিমিটেডের পক্ষে মেহেদি হাসান’র সাথে কথা বলার জন্য তাদের স্থায়ী ও অস্থায়ী কার্যালয় খুজে পাওয়া যায়নি।



মন্তব্য চালু নেই