চরফ্যাসনে এক বছরেও দেখা মিলেনি এ্যাসিল্যান্ডের, দূর্ভোগের শিকার সাধারন জনগন

কামরুজ্জামান শাহীন, চরফ্যাসন: ভোলার চরফ্যাসন উপজেলায় প্রায় এক বছর হয়ে গেলো দেখা মিলছে না এ্যাসিল্যান্ড (সহকারী কমিশনারের)। এ্যাসিল্যান্ড না থাকায় ভূমি সংক্রান্ত কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। এ অবস্থায় নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হচ্ছে না।

সাধারন জনগন নামজারীসহ বিভিন্ন কাজে ভূমি অফিসে এসে মারাত্মক দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় এক বছর ধরে উপজেলার নির্বাহি কর্মকর্তা এ পদের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে মোহাম্মাদ মোখলেছুর রহমান গত জুলাই ২০১৫ অন্যত্র বদলি হয়ে যাওয়ায় পর এই উপজেলায় আর কোন এ্যাসিল্যান্ড যোগদান করেননি। এর ফলে নিয়মিত নামজারী, মিস কেস, ভূমি উন্নয়ন কর আদায়, খাস জমি দখলমুক্ত করণ কাজ সঠিক ভাবে হচ্ছেনা।

এছাড়াও ভূমিহীনদের খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদান, একসনা ডিসিআর ও বন্দোবস্ত, চান্দিনা ভিটি বরাদ্ধসহ জমি জমা সংক্রান্ত প্রায় সকল কাজই স্থবির হয়ে আছে। স্থানীয় ভূমি বিরোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলোর জটলা তৈরী হচ্ছে থানা পুলিশের কাছে।

মোঃ আঃ কাদের মাঝি নামের এক ব্যক্তি জানান, নামজারী করার জন্য কয়েক বার অফিসে এসেও পারিনি, স্যার (ইউএনও) অন্য কাজে ব্যস্ত আছেন। পরে এক দলিল লেখকের মাধ্যমে কিছু টাকা দিয়ে করতে হয়েছে।ব্যবসায়ী মোঃ আলম পাটওয়ারী জানান, বেশ কয়েকবার হয়রানীর শিকার হয়েছি। ইউএনও এ পদের দায়িত্ব থাকা সত্বেও তার প্রশাসনিক কাজের চাপে সময় দিতে পারছেন না। এ কারনে অত্র উপজেলায় জমি কেনা বেচা কম হয়। সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রেজাউল করিম বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অফিসের বিভিন্ন কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। সেক্ষেত্রে ভুমি সংক্রান্ত কাজে যে পরিমান সময় দেওয়া প্রয়োজন সেই পরিমান দেওয়া যাচ্ছে না। কারন, ভূমি বিরোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো জটিল ও সময়সাপেক্ষ।তবে আমার সাধ্য পরিমান কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।



মন্তব্য চালু নেই