চর অঞ্চলের গনমানুষের জীবন যাপন ইতিকথা

চরঅঞ্চলের মানুষের জনজীবন প্রতি নিয়ত জীবনের সংঙ্গে সংগ্রাম করে, রোধ , বৃষ্টি ,ঝড় ,উপেক্ষা করে নিদারুন কষ্টে করে বেচে অছে। বাস্তহারার মত আজ এ চরে কাল অন্য চরে মরা বাঁচার দায়িত্ব তাদের একার। বাংলাদেশের অসহায় বঞ্চিত চরবাসীরা ক্ষুধা,দারিদ্র্য,বঞ্চনা, অশিক্ষা ও বেকারত্বের অসহনীয় বেদনা ছারাও সারা বছর নিরন্তরভাবে বিভিন্ন দুর্যোগের সাথে মরা বাঁচার অলিঙ্গন করছে।

প্রতি মহুতে নদী ভাঙ্গন,বন্যা,খরা শৈতপ্রবাহ,সাইক্লোলন, সিডরসহ নানা কারণে উন্নয়নে শত শত বাধাগ্রস্ত হয়ে পিছিয়ে পড়ছে। চর দখলের মহোৎসব চলে জীবনের নিরাপত্তাহীন তাদের জীবনকে করে তুলেছে দুর্বিসহ। চরঅঞ্চলের মানুষের উপর দিয়ে চলে অমানষিক নির্যাতন ভুমিক্ষেপুরা অঘোষিত চরে মালিক । চরে বাস করতে হলে লীজের টাকা দিতে হয়।

যোগাযোগ ব্যবস্তা,স্বাস্থ্যসেবা,বিশুদ্ধ পানি,পরিবেশের অভার, আইন সহায়তা সেবার অভাব,হামলা মামলা , দেশের চরঅঞ্চরের মানুষেরা মাথা গুজার ঠাই টুকু অকড়ে ধরে সীমাহীন দুঃখ কষ্ট করছে। এক খন্ড জমির মালিকানা অধিকার প্রাপ্তির আশায় বুক বেধেছে। অবহেলিত বঞ্চিত চরবাসীদের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য সমন্বিত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম গ্রহন করা হয়নি। নদী মাতৃক বাংলাদেশ বৃহত্তর অংশ জুড়ে রয়েছে চরএলাকা ।

মোট জমির ১০শতংশ চর ভুমি দেশের ৩২টি জেলায় শতাধিক উপজেলার চরাঞ্চল, ৫০ থেকে ৭০লক্ষ মানুষ বহুবিধ ঝুকি মাথায় করে বাস করছে। সরকারী মৌলিক অধিকার প্রাপ্তি থেকেই বঞ্চিত। সরকারী সুযোগ সুবিধা থেকে চরবাসীর কোন টাই পাচ্ছে না চরবাসী। অসম বন্টন ব্যবস্তার কারনে, নিদ্বারুন বঞ্চনার মধ্যে জীবন যাপন অতিবাহিত করতে বাধ্য হচ্ছে।

এ জন্য চরঅঞ্চলের মানুষের দুঃখ দুর্দশা জীবনের হতাশা, চর সম্পর্কিত নারী পুরুষ বিভিন্ন ব্যাক্তি প্রতিষ্টানের সুধিজন, গবেশক, সংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নীতিমালা প্রনয়নের জন্য২৮টি দাবী উপস্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় চর সম্মলেন অনুষ্টিত হয়। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পীকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরী ,বিশেষ অতিথি মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এম পি, সভাপতিত্ব করেন খোন্দকার ইব্রহিম খালেদ। চরবাসী জীবন জীবকা রক্ষার্থে সামাজিক মানবিক পরিবর্তনে জন্য সরকারের দিক থেকে নীতিমালা প্রণয়ন আমাদের প্রত্যাশার মূল লক্ষ।

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের মানীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ আন্তরিকতার সঙ্গে এই নিতিমালার সুপারিশ গুলো গ্রহন করে, তাহলে আমাদের সামগ্রিক ঐকান্তিক প্রচেষ্টা সার্থক হবে বলে আমরা বিশ্বাস রাখি। বাংলাদেশের সকল চরঅঞ্চলের ভুমিহীনদের দীর্ঘদিনের প্রানের দাবী পুরনের জন্য সরকারের কাছে ২৮টি দাবী সুপারিশগুলি প্রকাশ করেন জাতীয় প্রথম চর সম্মেলন কমিটি।

একই সঙ্গে ৭০টি আইএন জি ও চরঅঞ্চলের ভুমিহীনদের সঙ্গে মাঠ পর্যায় যে সকল এন জি ও চরবাসী সুখ দুঃখের সাথী , তাদের অধিকার প্রতিষ্টার লক্ষে তাদের পক্ষে ২৮টি সুপারিশ আইনও নিতিমালা গুলো জাতীয় দাবীতে গন্য করার দারী জানান।

সারাদেশের মত রাজবাড়ী জেলা পদ্মা ,গড়াই, হড়াই, চন্দনা, পুষ্সলী সহ ছেট বড় অনেক নদী বিদ্যমান আছে। পদ্মা চর অঞ্চল ১২২৩ একর, গড়াই ১১৩৪ একর, চন্দনা ১২৩ একর, পুষ্সলী নদী ২১৩ একর ,হড়াই ১১২ একর। রাজবাড়ী জেলার সঙ্গে মাগুরা জেলা সিমানা বিরোধ,পাবনা জেলা ও ফরিদপুর ও মানিকগঞ্জ বিরোধের কারনে শত শত একর জমি ভুমি খেকোদের দখলে।

চরঅঞ্চলের ১২টি চরবাসীদের আলোচনা করা হয় চরবাসী চরকনোশন সমাবেশকে সাগতম জানায় পল্লী বন্ধু সংস্থা দীর্ঘ দিন যাবত খাস জমিতে অধিকর বঞ্চিত মানুষের ভুমির অধিকার,কৃষি সংস্কার ন্যায বিচার,সকল খাস জমিতে প্রতিষ্টার দাবীতে ইসু ভিক্তিক মাঠ পর্যায় গ্রাম থেকে জেলা জাতীয় অর্ন্তজাতিক ফোরামে তাদের দারী জাতীয় দাবীতে গন্য করার জন্য জাতীয় ফোরামে দাবী করে জাতীয় ইসুতে গন্যর জন্য প্রত্যশা ব্যাক্ত করেন। বাংলাদেশ ৬৫%ভাগ ভুমিহীন অসহায় সকল সুযোগ প্রাপ্তিতে বঞ্চিত হওয়ার কারণে ভুমিহীন নামে পরিচিত।

একটি স্বাধিন সত্ব দেশে সকলে এ মাটির সন্তান এ মাটিতে জন্ম হওয়া সত্ব সমঅধিকার স্থানীয় সম্পদ সুষ্ট বন্টন না হওয়ার কারনে ভুমিহীন ও প্রান্তিক চাষিদের হাতে নাই কোন চাষাবাদ যোগ্য কোন জাগা জমি, নাই অন্যদিকে মাথা গুজার ঠাই , নাই ও নদী গর্বে বিলিন বসতভিটা চরঞ্চলের চরবাসীরা বাস করতে হয়, ভুমি খেকোদের দয়ার উপর নিভর করে জমির জন্য টাকা দিতে হয়। চরের সরকারী খাস জমি হওয়া সত্বে সরকারী খাস জমি অবৈধ দখল করে সর্গরাজ্যে বাস করছে।

সে কারনে প্রকৃত ভুমিহীনরা ভুমির মালিকানা অধিকার পাওয়া থেকে বঞ্চিত করে । অন্ধকারের আড়ালে বলে কল খুঠি নারছে। মামলা. হামলা ,খুন ,নারী নির্যাতন করে চরের মালিক বাপ মা চরবাসীকে জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে দেখার কেউ নাই।

বাস্তব চিত্র এদের ভয়ে চরবাসী মুখ খোলে না এদের বিরুদ্বে সরকারকে কঠোর ব্যবস্তা গ্রহন করতে হবে। চর ভুমিহীনরা কোন তারা ন্যায় অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকবে। চরবাসীর কছে চরে মহতী উদ্দ্যেগের কথা জানানো হয়, সম্মেলন দেখতে চান চরঅঞ্চলের গল্প যেন লেখা হয়, রাজরাড়ী জেলায় কতটি চর ভিন্ন ভিন্ন করে তাদের জীবন জীবিকা তুলে ধরতে হবে।

তাই আসুন সবাই চরবাসীর পাশে দাড়িয়ে তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শরিক হই। সরকারকেও চরবাসীর দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে এগিয়ে আসতে হবে।

লেখকঃ রুহুল আমিন বুলু, পরিচালক, পল্লী বন্ধু সংস্থা, রাজবাড়ী।



মন্তব্য চালু নেই