চাঁদাবাজী, সন্ত্রাসী, মাস্তানী, ষড়যন্ত্র সব কিছু শুধু একটি সম্পত্তি দখলের চেষ্টায়!

এম.এ আয়াত উল্যা, স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী : নোয়াখালী সদর উপজেলায় নোয়াখালী পৌরসভা ২নং ওয়ার্ড পূর্ব মাইজদী, জাগিদার বাড়িতে সম্পত্তি দখল করার চেষ্টায় বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করিয়া আসিতেছে একটি পরিবারকে অভিযোগ সূত্রে জানাযায় পূর্ব মাইজদী ২নং ওয়াডের মৃত আবদুল মন্নাননের ছেলে মোঃ হুমায়ুন কবির, (ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, ১০নং অশ^দিয়া ইউপি, সদর, নোয়াখালী।

এই ঘটনায় ১৫ মার্চ ২০১৭ইং সকাল ১০টায় মোঃ হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে রিয়াজ উদ্দিন (২৮), মোঃ খোকন (৩৭), শিল্পী বেগম (৩২),মোঃ মহিন উদ্দিন (৩০), নুর উদ্দিন প্রঃ বাবু (২৯), সালা উদ্দিন (৩৬), পূর্ব মাইজদী (জাগিদার বাড়ি), ২নং ওয়ার্ড, নোয়াখালী পৌরসভা, থানা ঃ সুধারাম, জেলাঃ নোয়াখালীসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ কে বিবাদী করে একটি অবিযোগ করেন যার সারক নং ১০৯৮/২য় অভিয়োগে জানান ১২মার্চ ২০১৭ইং মোঃ হুমায়ুন কবির প্রতিদিনের ন্যায় সকাল অনুমান ০৯.০০ ঘটিকার সময় তাহার কর্মস্থলে চলিয়া যায়।

ঐ দিনে বেলা অনুমান ২.৩০ ঘটিকার সময় রিয়াজ উদ্দিন, মোঃ খোকন, তাহাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে হুমায়ুন কবির কর্মস্থল অর্থাৎ তাহার কর্মস্থলে যাইয়া তাকে অস্ত্রের ভয় দেখাইয়া ০৬ টি নন জুডিশিয়াল অলিখিত স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিতে বলে। তিনি তাদের কথামতো স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর না করায় বিবাদীদ্বয় কিল, ঘুষি, ঠেলা ধাক্কা দেয়। এই বিষয় হুমায়ুন কবির তাহার স্ত্রীকে অবহিত করিলে সে কতেক সাক্ষীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছিয়া ঘটনার সত্যতা পাইয়া।

অতঃপর নোয়াখালী সুধারাম মডেল থানার এস.আই./ছায়েদ মিয়া এর মাধ্যমে রিয়াজ উদ্দিন ও মোঃ খোকন নামের দুইজনের থেকে অলিখিত ৬টি স্ট্যাম্প সহ তাহাদেরকে আটক করে ও হুমায়ুন কবিরকে বিবাদীদের কবল হইতে উদ্ধার করিয়া থানায় নিয়া আসে।

পরবর্তীতে তাহার স্ত্রী উক্ত বিষয়ে তাদের আতœীয়-স্বজনের সহিত যোগাযোগক্রমে সুধারাম থানায় এজাহার দায়ের করে বিবাদীগণ স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে সুধারাম থানা হইতে মুছলেকায় যাইয়া ১৪ মার্চ বিকাল অনুমান ০৫ ঘটিকা হুমায়ুন কবিরের বসত বাড়িতে যাইয়া তাকে ও পরিবারের সদস্যদেরকে হুমকি ধমক দিয়া বলে যে বিবাদীদ্বয়কে থানা পুলিশের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করার মজা দেখাইবে এবং মোঃ খোকন তাহার স্ত্রী শিল্পী বেগম বিবাদীকে দিয়া আমাদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা করিয়া হয়রাণির স্বীকার করিবে।

আমি ও আমার পরিবারের লোকজন বিবাদীদের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি। লিখিত অভিয়োগে আরো জানায় আমি নি¤œস্বাক্ষরকারী কার্যালয়ে হাজির হইয়া এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, আমি একজন সহজ, সরল, নিরীহ, আইন মান্যকারী ও সরকারী ভূমি কর্মকর্তা হই।

আমি ১০নং অশ^দিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছি। অপরদিকে বিবাদীগণ একশ্রেণির চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, মাস্তান, জোর জুলুমবাজ, দাঙ্গা হাঙ্গামাপ্রিয় ও পরশ্রীকাতর প্রকৃতির লোক হয়। বিবাদীগণ পারেনা হেন কোন কাজ নাই। উল্লেখিত কার্যাদি করা বিবাদীদের একমাত্র নেশা ও স্বভাব। বিবাদীদ্বয় তাহাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় অস্ত্রের ভয় দেখাইয়া জিম্মি করিয়া টাকা পয়সা, সহায় সম্পত্তি আতœসাৎ করা তাহাদের নিত্য নৈমিত্তিক ব্যপার।

বিবাদীরা আমাদের জায়গা সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করার হীন চেষ্টায় লিপ্ত থাকিয়া বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করিয়া আসিতেছে। ৫ বছর পূর্বে সম্পত্তির জের ধরিয়া মহিন উদ্দিন বিবাদী তার পিতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারিলে উক্ত কোপ লক্ষ্যভ্রষ্ট হইয়া ঘাড়ে পড়িয়া মারাত্মক কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। হুমায়ুন কবির ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জানিয়া বিবাদীগণ হুমায়ুন কবির উপর লেলুপ দৃষ্টি ফেলিয়া তাকে ভয় ভীতির মাধ্যমে টাকা পয়সা আতœসাৎ করার হীন মানসে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। হুমায়ুন কবির প্রতিদিনের ন্যায় গত ১২মার্চ ২০১৭ ইং তারিখ সকাল অনুমান ০৯.০০ ঘটিকার সময় আমার কর্মস্থলে চলিয়া যায়।

ঐ তারিখ বেলা অনুমান ২.৩০ ঘটিকার সময় বিবাদীদ্বয় ও তাহাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী আমার কর্মস্থল অর্থাৎ অভিযোগে বর্ণিত ঘটনাস্থলে যাইয়া আমাকে অস্ত্রের ভয় দেখাইয়া ০৬ টি নন জুডিশিয়াল অলিখিত স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিতে বলে। হুমায়ুন কবির বিবাদীদের কথামতো স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর না করায় আমাকে বিবাদীদ্বয় কিল, ঘুষি, ঠেলা ধাক্কা দেয়।

আমি উক্ত সংবাদ ১নং সাক্ষী আমার স্ত্রীকে অবহিত করিলে সে অভিযোগে বর্ণিত কতেক সাক্ষীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছিয়া ঘটনার সত্যতা পাইয়া। অতঃপর সুধারাম থানার এস.আই./ছায়েদ মিয়া এর মাধ্যমে ১ ও ২নং আসামীদ্বয়ের নিকট হইতে অলিখিত ৬টি স্ট্যাম্প সহ তাহাদেরকে আটক ও আমাকে বিবাদীদের কবল হইতে উদ্ধার করিয়া থানায় নিয়া আসে। পরবর্তীতে আমার স্ত্রী ১নং সাক্ষী উক্ত বিষয়ে হুমায়ুন কবির আতœীয়-স্বজনের সহিত যোগাযোগক্রমে সুধারাম থানায় এজাহার দায়ের করে।

বিবাদীগণ স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে সুধারাম থানা হইতে মুছলেকায় যাইয়া সর্বশেষ ১৪ মার্চ বিকাল অনুমান ঘটনার তারিখ ও সময়ে হুমায়ুন কবির বসত বাড়িতে হুমায়ুন কবির ও পরিবারের সদস্যদেরকে হুমকি ধমক দিয়া বলে যে, ১নং ও ২নং বিবাদীদ্বয়কে থানা পুলিশের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করার মজা দেখাইবে এবং ২নং বিবাদীর স্ত্রী ৩নং বিবাদীকে দিয়া আমাদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা করিয়া হয়রাণির স্বীকার করিবে।

হুমায়ুন কবির ও পরিবারের লোকজন বিবাদীদের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি। হুমায়ুন কবির মহোদয়ের কাছে সদয় বিবেচনা করিয়া বিবাদীদের বিরূদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে জানান এই দিকে হুমায়ুন কবির অভিযোগটি পুলিশ সুপার নোয়াখালী অফিসার ইনচার্জ সুধারম মডেল থানাকে অনূসন্ধান পূর্বক প্রেয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে আগামী দশ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ করেন



মন্তব্য চালু নেই