চাকরির আবেদন করলো ছেলে, ভাইভা দেবেন বাবা!

জীবনবীমা করপোরেশনে সহকারী ম্যানেজার পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয় স্নাতকোত্তর। কিন্তু অনার্সেই ইন্টারভিউ কার্ড ইস্যু, ছেলের আবেদনে বাবার নামে কার্ড ইস্যু- এসব অনিয়মের অভিযোগে দায়ের করা রিট আবেদনটি শুনানির জন্য হাইকোর্ট বিভাগের কার্যতালিকায় এসেছে।

বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় রাখা হয়েছে।

আগামীকাল শুক্রবার এ পদের পরীক্ষাকে সামনে রেখে জীবনবীমা করপোরেশনের সামনে আন্দোলন সংগ্রাম করছে বিক্ষুব্ধ আবেদনকারীরা।

এর আগে গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি এ পদে কাউছার হামিদ নামে একজন প্রার্থী আবেদন করেন। আবেদনে তিনি জীবন বীমা করপোরেশনের সহকারী ম্যানেজার নিয়োগ প্রক্রিয়ার কার্যক্রম স্থগিত করতে ও পুনরায় এ পদে পরীক্ষা নিতে আবেদন করেন।

এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করতে ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এরই মধ্যে এ প্রতিষ্ঠান বরাবর একটি নোটিস দেয়া হয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। নোটিসে স্বাক্ষর করেন ওই মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শফিকুল ইসলাম।

রিট আবেদনের বিবরণ থেকে জানা যায়, জীবন বীমা করপোরেশন সহকারী ম্যানেজার পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে স্নাতোকোত্তর (মাস্টার্স)। কিন্তু জীবনবীমা করপোরেশনের ভাইভা পরীক্ষায় (ইনটারভিউ) কার্ড ইস্যু করা অনার্স ও সমমান পাসের আবেদনকারীদের।

এমনকি আবেদন করেছে পুত্র আর কার্ড ইস্যু করা হয়েছে পিতার নামে। ছেলে সুমন তালুকদার আবেদন করলেও কার্ড ইস্যু করা হয়েছে তার পিতা শ্যামল কুমার তালুকদারের নামে।

এসব অনিয়মের অভিযোগ তুলে করা রিট আবেদনটি হাইকোর্ট বিভাগের কার্যতালিকায় এসেছে।



মন্তব্য চালু নেই