চাঞ্চল্যকর তনু ও মিতু হত্যা মামলা কি ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে?

চাঞ্চল্যকর তনু ও মিতু হত্যা মামলা কি ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে? কলেজছাত্রী তনু হত্যার ৬ মাস আর পুলিশ সুপারের স্ত্রী মিতু হত্যার প্রায় ৩ মাস হলেও মামলার অগ্রগতি এক জায়গায় গিয়ে থমকে গেছে। দু’টো ঘটনাতেই হত্যাকান্ডের নেপথ্যে কারন বের করতে পারেনি পুলিশ। ফলে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্যকর সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার মত এ দুটোও মামলাও আলোর মুখ দেখা থেকে বঞ্চিত হবে? নেপথ্যের কলকাঠি নাড়ছে যে কালোহাতগুলো তারাইকি জয়ী হবে?

গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের বাসার পাশের একটি জঙ্গল থেকে তনুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২১ মার্চ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে তার প্রথম ময়নাতদন্ত করা হয়। ওই দিন অজ্ঞাতদের আসামি করে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন তনুর বাবা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড অফিস সহকারী ইয়ার হোসেন। গত ৩০ মার্চ দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্তের জন্য তনুর লাশ জেলার মুরাদনগরের মির্জাপুর গ্রামের কবর থেকে উত্তোলন ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গত ৪ এপ্রিল দেয়া হয় প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন। ওই প্রতিবেদনে তনুকে হত্যা ও ধর্ষণের আলামত না থাকায় সমালোচনার মুখে পড়ে ফরেনসিক বিভাগ। ১৬ মে তনুর কাপড়ে ৩ পুরুষের শুক্রানু পাওয়া যাওয়ার খবর সিআইডির কুমিল্লা অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর আবারো আলোচনায় উঠে আসে প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন। ১২ জুন ২য় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। পরে তদন্ত কর্মকর্তা গাজী ইব্রাহীমকে পরিবর্তন করে সিআইডির এডিশনাল এসপি জালাল উদ্দিনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু চাঞ্চল্যকর এই মামলাটি তদন্তে গড়িমসি করা হচ্ছে বলে তনুর পরিবারের পক্ষ থেকে বরাবরই অভিযোগ করা হচ্ছে। তনু হত্যার বিচারের দাবিতে গত ২০ জুন কুমিল্লার কান্দিরপাড় এলাকায় অনুষ্ঠিত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা বলেন, আমরা এর শেষ দেখে নেব। তনু হত্যা মামলার বিচার বাংলার মাটিতে হবে এবং হবে।

মিতু হত্যা
মিতু হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে গত ৪ জুন। চট্টগ্রামে সন্ত্রাসীরা সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনাটি রহস্যজনক। মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তর পরদিন ৫ জুন পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত হন। এই ঘটনায় শেষ পর্যন্ এসপি বাবুল পদত্যাগ করতেও বাধ্য হন। কিন্তু মামলাটি ক’জন চিহ্নিত -দাগী অপরাধী গ্রেফতারের মধ্য দিয়েই শেষ হল। হত্যার নির্দেশদাতা কে এবং নেপথ্যের ঘটনাইবা কি সেটা রয়েগেছে রহেস্যর অন্তরালে। সাংবাদিকদের শত আন্দোলনের মুখেও চাঞ্চল্যকর সাংবাদিক দম্পতি সাগর রুনি হত্যা মামলা ধামাচাপাপ পড়ে গেছে। তদ্রুপ এ দুটো চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলাও ডিপফ্রিজে চলে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা ধারনা করছেন। অনেকেই বলছেন, কিছু কিছু হত্যার নেপথ্যে অশুভ শক্তি স্বার্থান্বেষীচক্র থাকে যাদের ইশারায় প্রশাসনযন্ত্র বিকল হয়ে যায়। আলোচিত দুটো হত্যাকান্ডের নেপথ্যে কি সেরকম শক্তিই কাজ করছে?



মন্তব্য চালু নেই