চাটমোহরে আন্তঃজেলা চোর আটক ॥ মোটরসাইকেল উদ্ধার

পাবনার চাটমোহরে একের পর এক মোটর সাইকেল চুরির ঘটনায় মোটর সাইকেল মালিকরা যখন চরম আতংকে রয়েছেন, তখনই পুলিশ অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা মোটর সাইকেল চোর দলের এক সদস্যকে আটক করেছে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জেলার ঈশ্বরদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি মোটর সাইকেল।
আটককৃত চোর হলো চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের দোলং গ্রামের আঃ মান্নান মান্নার ছেলে চিহ্নিত চোর রনি (২২)। থানার ওসি সুব্রত সরকার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর শহরের নারিকেলপাড়া থেকে রনিকে আটক করে।
তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ইশ্বরদীর বিমানবন্দর পুরানপাড়া ভাদুর বটতলা এলাকার একটি বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া একটি মোটর সাইকেল (ডায়াইং-১০০ সিসি, পাবনা হ-১৯৮৩) উদ্ধার করে। মোটর সাইকেলটির মালিক চাটমোহর পৌর শহরের ছোট শালিখা মহল্লার বাসিন্দা ও আফ্রাতপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামিনুল ইসলামের।
গত ৩০ জুন দিবাগত রাতে বাড়ি থেকে মোটর সাইকেলটি চুরি হয়।
পুলিশ জানায়, আটককৃত রনি এলাকার চিহ্নিত চোর। তার বিরুদ্ধে সিএনজি অটোটেম্পু চুরি ও সিঙ্গার শো-রুমে চুরির অভিযোগ রয়েছে। গত ১২ মার্চ’১৫ তারিখে চাটমোহর ডিগ্রী কলেজ রোডের সিঙ্গার শো-রুমে দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হলে পুলিশ ৪ এপ্রিল রনিকে আটক করে। ৭ এপ্রিল তাকে দু’দিনের রিমান্ডে আনা হয়। জামিনে ছাড়া পেয়ে সে আবারও অপরাধ জগতে ঢুকে পড়ে। গত ৩ মাসে চাটমোহরে অনন্তঃ ১৫টি মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে থানার এসআই, স্কুল-কলেজের শিক্ষক, সরকারি চাকুরিজীবি ও ব্যবসায়ীর মোটর সাইকেল রয়েছে।
একের পর এক মোটর সাইকেল চুরির ঘটনায় মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পুলিশের প্রতি আস্থা হারাতে থাকে মানুষ। পুলিশ মোটর সাইকেল চুরির রহস্য উদঘাটনে বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। অবশেষে একজনকে আটক করাসহ একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হলো।
চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ সুব্রত সরকার জানান, আটককৃত রনির কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। খুব শীঘ্রই মোটর সাইকেল চুরির সাথে জড়িতদের আটক করা যাবে।



মন্তব্য চালু নেই