চার কোপে কাব্যের মৃত্যু

রাজশাহী মহানগরীর বুধপাড়ায় মায়ের হাতে নিহত শিশু শাহরিয়ার আলম কাব্যর (৭) লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ময়নাতদন্ত করেন রামেক হাসপাতালের চিকিৎসক এনামুল হক। ময়নাতদন্ত শেষে তিনি জানান, ধারালো অস্ত্রের চারটি কোপে কাব্যর মৃত্যু হয়েছে। আঘাতগুলো সবই মাথার ওপরের অংশে। এই আঘাতের ফলে মাথা থেকে কিছু মগজও বের হয়ে গিয়েছিল। এর বাইরে লাশের দেহে অন্য কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।

এনামুল হক বলেন, ‘আঘাতের ধরন দেখে মনে হচ্ছে, হত্যাকাণ্ডটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত। হঠাৎ রাগের বশে সংঘটিত খুন নয় এটি।’

শনিবার রাতে নগরীর বুধপাড়া এলাকার স্কুলশিক্ষক রফিকুল ইসলামের স্ত্রী তসলিমা বেগম (৩৫) ঘরের দরজা বন্ধ করে তার একমাত্র সন্তান শাহরিয়ার আলম কাব্যকে খুন করেন। এরপর তিনি নিজেও মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। পরে পুলিশ কাব্যর লাশ উদ্ধার করে। আর অজ্ঞান অবস্থায় আটক করে তসলিমা বেগমকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকেিউদ্ধার করা হয় একটি চাপাতি।

নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর জানান, কাব্যকে হত্যার পর তার মা আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অনুসন্ধান শেষে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

কাব্যর স্বজনদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তসলিমা বেগম মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। আর এ জন্য তিনি তার সন্তানকে হত্যা করতে পারেন। তবে স্থানীয় লোকজন দাবি করছেন, তসলিমা বেগম ও রফিকুল ইসলামের মধ্যে দাম্পত্য কলহ ছিল। তাদের বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়েও কথাবার্তা চলছিল। এর জের ধরে তসলিমা তার সন্তানকে হত্যা করতে পারেন বলে তাদের ধারণা।

কাব্য হত্যার ঘটনায় রোববার বেলা তিনটা পর্যন্ত মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন মতিহারের ওসি হুমায়ুন কবির। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।



মন্তব্য চালু নেই