চাহিদা বেশি মাঝারি আকৃতির গরুর

নওগাঁর সীমান্তবর্তী হাটগুলোতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ভারতীয় গরু-মহিষের আমদানি নেই বললেই চলে। আর এতে খুশি দেশি গরু পালনকারী স্থানীয় খামারি এবং ক্ষুদ্র আকারে যাঁরা বাড়িতে গরু পালন করছেন।

জেলার সীমান্তবর্তী সাপাহার, পোরশা, নিয়ামতপুরের ছাতরা, ধামইরহাট ও মান্দার চৌবাড়িয়াসহ গবাদিপশুর বড় হাটগুলোতে দেখা গেছে দেশি গরুর দাপট। তবে বড় আকারের নাদুসনুদুস দেশি গরুর চেয়ে মাঝারি গরুর কদর বেশি এসব হাটে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীরা কোরবানির পশু সংগ্রহে ছুটে আসছেন সীমান্তের হাটগুলোতে। কিন্তু বড় আকারের গরু কিনতে সময় নিচ্ছেন তাঁরা। তুলনামূলক বেশি বিক্রি হচ্ছে মাঝারি আকৃতির গরু।

ছাতরা হাটে গিয়ে দেখা গেছে, গত হাটবারে ভারতীয় গরু এসেছে মাত্র ৪০ থেকে ৫০ জোড়া। কিন্তু হাট কানায় কানায় পূর্ণ দেশি গরুতে। হাটে একেকটি মাঝারি আকৃতির গরু ৩৫ হাজার থেকে ৫৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। বেশি দাম পেয়ে খুশি খামারি ও কৃষকরা।

কিন্তু বিপরীত চিত্র মোটাতাজা বড় গরুগুলোর ক্ষেত্রে। বিক্রেতারা বলছেন, এবার বড় আকারের গরু নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে। লাখ টাকার একেকটি পশুর বিপরীতে পাইকাররা দাম বলছেন ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা।

সাপাহার এলাকার খামারি মোসলেম উদ্দীন বলেন, ‘সীমান্ত এলাকা হওয়ায় পাশের দেশ ভারত থেকে গরু আসত এসব হাটে। ঈদের অন্তত ১৫ দিন আগে শুরু হয়ে স্থানীয় হাটগুলোয় সপ্তাহখানেক জমজমাট বেচাকেনা চলে। শহরের বড় হাটের পাইকাররা এসে গবাদিপশু সংগ্রহ করে নিয়ে যান। কিন্তু এবার তুলনামূলকভাবে ভারতীয় গরু কম এলেও দেশি বড় গরুর দাম উঠছে না। পাইকাররা বড় গরু কিনতে সিন্ডিকেট করেছেন। ফলে বড় গরুতে চরম লোকসান গুনতে হচ্ছে।’

ছাতরা হাটে গরু কিনতে এসে ঢাকার গাবতলী হাটের পাইকারি ব্যবসায়ী শাহীনূর বলেন, ‘মোকামে মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। কিন্তু ভারত থেকে কখনো মাঝারি মোটাতাজা গরু আসে না। তাই স্থানীয় বাজারে কিছুটা বেশি দামে কিনলেও এসব গরুতে লোকসান হওয়ার আশঙ্কা কম।’ তিনি আরো বলেন, ‘ঈদের দুই থেকে তিন দিন আগে বড় গরু বেচাকেনা বেশি হবে। কেননা, পাইকাররা সীমান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন। ভারতীয় গরু আমদানির ওপর দেশি বড় গরু বেচাবিক্রি ও দাম নির্ভর করবে।’



মন্তব্য চালু নেই