চীন থেকে ইরানে আসছে প্রথম ট্রেন

সিল্ক রোডে সোমবার তেহরান আসছে চীনের একটি কার্গো ট্রেন। প্রথমবারের মতো আসা এ ট্রেনকে স্বাগত জানাতে এরইমধ্যে ইরান সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। গত ২৯ জানুয়ারি চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের বাণিজ্য কেন্দ্র ই ওয়াং শহর থেকে ইরানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিল এ মালবাহী ট্রেন।

নতুন সিল্ক রোড দিয়ে চীন থেকে কাজাখস্তান ও তুর্কমেনিস্তান হয়ে ট্রেনটি ইরানের রাজধানী তেহরানে এসে পৌঁছাবে। ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সারাখ্স সীমান্ত দিয়ে এরইমধ্যে ট্রেনটি ইরানের ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে এবং সোমবার রাজধানী তেহরান পৌঁছাবে।

ইরান এসে পৌঁছাতে ট্রেনটিকে ১০,৩৯৯ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। এতে ৩২টি কন্টেইনার রয়েছে এবং প্রতিটি কন্টেইনারের ধারণক্ষমতা হচ্ছে ৪০ বর্গফুট।

পুরনো আমলে সিল্ক রোড ব্যবহার করে ব্যবসায়িরা এশিয়া থেকে ইউরোপে মালামাল আমদানি-রপ্তানি করতেন। চীন সেই পথকে আবার চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে।

২০১৩ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নতুন ‘সিল্ক রোড ইকনোমিক বেল্ট এবং ২১তম সমুদ্র সিল্ক রোড’ উদ্বোধন করেন যাতে এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের সঙ্গে শক্তিশালী যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠার ব্যবস্থা হয়।

এর অংশ হিসেবে মহাসড়ক, রেলপথ ও বিমানবন্দর নির্মাণ করা হবে। এ প্রকল্পসহ এশিয়ায় যোগাযোগের অবকাঠামো গড়ে তোলার জন্য চীন এরইমধ্যে ১৪ হাজার কোটি ডলারের তহবিল গঠন করেছে।

মধ্যপ্রাচ্যের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ইরানের অবস্থান এবং এ দেশের সঙ্গে ১৫টি দেশের স্থল ও পানিসীমা রয়েছে। চীন মনে করে, নতুন সিল্ক রোড প্রকল্পে ইরান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

এর মাধ্যমে ইরান মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরেশিয়ার সঙ্গে চীনের যোগাযোগ স্থাপন করিয়ে দিতে পারে। আগামী ছয় বছরে ইরান নতুন সিল্ক রোডে ৬০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই