চুরির ৬৮ হাজার ডলার ফেরত দিয়েছে ফিলিপাইন

ফিলিপাইনে সরিয়ে নেয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৬৮ হাজার ডলার ফেরত দিয়েছে দেশটি।ব্যাংকিং বিভাগের সচিব এম আসলাম আলম আজ রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে অর্থ চুরির বিষয়টি অর্থমন্ত্রণালয়কে না জানানোয় সরকারের পক্ষ থেকে সচিব ক্ষোভ প্রকাশ করেন।তিনি বলেন, গত ৪ ফেব্রুয়ারি চুরির ঘটনা ঘটলেও বাংলাদেশ ব্যাংক তা সরকারকে জানায়নি।কেন জানায় নি, তার কোনো ব্যাখ্যাও পাওয়া যায়নি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে।রিজার্ভ চুরির পর মাঝখানে একবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড মিটিংও হয়েছে। সেখানেও তারা বিষয়টি তোলেনি, চেপে যাওয়া্ হয়েছে।

সচিব আসলাম আলম সাংবাদিকদের জানান, চুরির পর বাংলাদেশ ব্যাংকের যে বোর্ড মিটিং হয়েছে সেই বৈঠকে আমিও ছিলাম। এছাড়া অডিট কমিটির আরো দুটি বৈঠকে আমি উপস্থিত ছিলাম সেখানেও চুরির ঘটনাটি চেপে যাওয়া হয়েছে।কেন চেপে যাওয়া হয়েছে তা নিয়ে ব্যাংকিং বিভাগের এই সচিব প্রশ্ন তোলেন।তিনি বলেন, ফিলিপাইনে রিজার্ভের যে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার পাচার করা হয়েছে তার মধ্যে ৬৮ হাজার ডলার পাওয়া গেছে এবং বাকি টাকা ব্যাংকিং চ্যানেলে নেই। বিপুল পরিমান ঐ অর্থ ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে তুলে নেয়ায় তা পাওয়া নিয়েও সংশয় রয়েছে বিশ্লেষকদের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের চার ডেপুটি গভর্নরের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর আসলাম আলম সাংবিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। তবে অর্থ চুরির বিষয় নিয়ে আগামী ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের জরুরি বোর্ড সভার বৈঠকে আলোচনা হবে বলেও তিনি জানান।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ থেকে প্রায় ৯৫০ মিলিয়ন বা ৯৫ কোটি ডলার চুরির চেষ্টা হলেও শেষ পর্যন্ত ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার দেশের বাইরে থেকে ‘হ্যাকড’ করে শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনে স্থানান্তর করা হয়। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় গেছে ২০ মিলিয়ন বা ২ কোটি ডলার আর ফিলিপাইনে গেছে ৮১ মিলিয়ন বা ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার।

এর মধ্যে শ্রীলঙ্কার সরিয়ে নেয়া অর্থ ফেরত পাওয়া গেলেও ফিলিপাইনে নেয়া অর্থ ফেরত পাওয়া নিয়ে চেষ্টা চলছিল।



মন্তব্য চালু নেই