চূড়ান্ত শুনানির অপেক্ষায় ১৫ ‘যুদ্ধাপরাধীর’ মামলা

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে সর্বমোট ২৫টি মামলার রায় ঘোষণা করা করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে সর্বশেষ জামালপুরের ৮ আসামির রায়ে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়।

ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার পর নিয়ম অনুসারে সংক্ষুব্ধপক্ষ সুপ্রিম কোর্টে আপিলের দ্বারস্থ হন। আর এভাবে ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর প্রায় ১৫টি মামলা এখন আপিলে চূড়ান্ত শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

তবে অন্যসব মামলার মধ্যে জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীর রিভিউ আবেদনের শুনানি এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। চলতি মাসের ২৫ জুলাই এই শুনানির দিন ধার্য করবেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

মীল কাসেমের রিভিউ আবেদনসহ এর পাশাপাশি আরও ১৪ জন মানবতাবিরোধী অপরাধীর মামলা আপিল বিভাগে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া ফাঁসির দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোবারক হোসেন, জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম ও আবদুস সুবহান, জাতীয় পার্টির সাবেক মন্ত্রী হবিগঞ্জের সৈয়দ মুহাম্মাদ কায়সার, সাবেক মুসলিম লীগ নেতা চাঁপাইনবাবগঞ্জের আফসার হোসেন চুটু ও মাহিদুর রহমান, পটুয়াখালীর ফোরকান মল্লিক, বাগেরহাটের সিরাজুল হক ওরফে কসাই সিরাজ, খান আকরাম হোসেন, নেত্রকোনার আতাউর রহমান ননী ও ওবায়দুল হক তাহের এবং হবিগঞ্জের মহিবুর রহমান ওরফে বড় মিয়া।

এ ছাড়া ট্রাইব্যুনালের রায়ে আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত হবিগঞ্জের আব্দুর রাজ্জাক খালাস চেয়ে আপিল করেছেন এবং আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত পিরোজপুরের সাবেক এমপি পলাতক জব্বার ইঞ্জিনিয়ারের সাজা বৃদ্ধি তথা মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

তবে আপিলের ক্রম অনুসারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোবারক হোসেনের আপিল মামলাটি শুনানির জন্য আগে তালিকায় আসবে বলে জানা গেছে।

ট্রাইব্যুনালে বিচারের পর আপিলে এসে মামলাগুলোর দ্রুততার সঙ্গে শুনানি শেষ করার জন্য গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

তিনি বলেছেন, ‘যুদ্ধাপরাধীর বিচার জনগণের দীর্ঘ প্রতিক্ষিত একটি বিচার। তাই যত দ্রুত সম্ভব আমরা এসব মামলা দ্রুততার সঙ্গে শেষ করতে চাই। এর ফলে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থাকে আমরা অক্ষুণ্ন রাখতে সক্ষম হব।’

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাইব্যুনালে মামলা পরিচালনাকারী আসামিপক্ষের এক আইনজীবী জানান, ‘আপিল বিভাগে অনেক মামলা রয়েছে, যা দীর্ঘ প্রতিক্ষীত। কিন্তু সেসব মামলা ছেড়ে শুধু যুদ্ধাপরাধীদের মামলায় বিচারে দ্রুততা প্রকাশ পাচ্ছে। এতে আপিল বিভাগের স্বাভাবিক মামলাগুলোর শুনানি পিছিয়ে জনগণের ভোগান্তি আরও বাড়ছে।’



মন্তব্য চালু নেই