চোখ ঝলমলে উজ্জ্বল করার কয়েকটি কৌশল

শরীরের সবচেয়ে সংবেদনশীল ও আকর্ষণীয় অঙ্গ হচ্ছে চোখ। চোখের চারপাশের ত্বক মুখের ত্বকের চেয়ে পাতলা হয়। আপনি যদি আপনার শরীরের যত্ন না নেন তাহলে তা প্রতিফলিত হয় চোখে। এর ফলে চোখ কুয়াশাছন্ন বা হলদেটে দেখায়, চোখ ফুলে যায় বা বলিরেখা পড়ে। সুস্থ থাকার জন্য চিনি ও ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করুন, ক্যাফেইন গ্রহণ এড়িয়ে চলুন এবং সানগ্লাস পরুন ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করার জন্য। চোখ ঝলমলে উজ্জ্বল করার কয়েকটি কৌশল জেনে নেব আজ।

১। সয়া দুধ

ঠান্ডা সয়া দুধে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান আছে, যা ব্যবহার করলে চোখের ফোলাভাব কমিয়ে চোখকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এজন্য ঠান্ডা সয়া দুধের মধ্যে তুলার বল ডুবিয়ে নিন। তুলার বলটি চেপে নিয়ে চোখের উপরে রাখুন। এভাবে ১০ মিনিট থাকার পর চোখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার এটি লাগান চোখকে উজ্জ্বল করার জন্য।

২। গোলাপজল

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান আছে গোলাপ জলে। তাই এটি চোখের অবাঞ্চিত কণা দূর করতে এবং চোখের ক্লান্ত পেশীকে শীতলতা দানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ভাবেই পুনরুজ্জীবিত করতে পারে চোখকে। লম্বা হয়ে শুয়ে চোখের উপর কয়েক ফোঁটা গোলাপজল দিন। কয়েক মিনিট এটি চোখে থাকতে দিন। তারপর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

সতর্কতা- তাৎক্ষণিক ভাবে চোখে জ্বালাপোড়া হতে পারে যা স্বাভাবিক। তবে আপনার গোলাপ পানিতে অ্যালার্জির সমস্যা হয় কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার পরই চোখে ব্যবহার করবেন।

৩। গ্রিনটি ব্যাগ

শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিনে ভরপুর গ্রিনটি ক্লান্ত চোখকে পুনরুজ্জীবিত করে, শীতল করে এবং চোখের ফোলাভাব কমায়। ব্যবহার করা টি ব্যাগ নিয়ে এর অতিরিক্ত পানিটুকু ঝড়িয়ে নিন। তারপর এটি রেফ্রিজারেটরে রাখুন। ফ্রিজ থেকে বের করে চোখের উপর রাখুন প্রায় ৫ মিনিট পর্যন্ত। তারপর চোখ ধুয়ে ফেলুন। উজ্জ্বল ও চকচকে চোখের জন্য যতবার খুশি এটি ব্যবহার করতে পারেন।

৪। পুদিনা পাতা

পুদিনা পাতায় মেন্থল থাকে যা ক্লান্ত পেশীকে শিথিল হতে সাহায্য করে। কিছু পুদিনা পাতা থেঁতলে নিয়ে ঘন পেস্টের মত তৈরি করুন। এর সাথে সামান্য পানি বা আমন্ড দুধ মেশাতে পারেন। মিশ্রণটি আপনার দুই চোখের উপর লাগিয়ে ১০ মিনিট রাখুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। উজ্জ্বল চোখ পেতে চাইলে এই পদ্ধতিটি সপ্তাহে ২ বার অনুসরণ করুন।



মন্তব্য চালু নেই