চোখ ভালো রাখতে যা করবেন

চোখ আমাদের কতোটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন কি চোখের জন্য আমরা আলাদা ভাবে কোনো যত্ন করি কি না? চোখেরআলাদা করে তেমন কোন যত্ন নেওয়া হয় না কারোরই। অথচ এটি আমাদের দেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে একটি।

আমরা কখনো কল্পনা করতে পারবো না তার অনুভূতি যিনি হারিয়েছেন এই অমূল্য সম্পদটি। সুতরাং সতর্ক থাকা উচিত এই চোখের ব্যাপারে। বেশি কিছুনয় সামান্য সচেতনতায় শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটি বেশ নিরাপদেই রাখা যায়।

প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙার পর থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তার বিরাম নেই। চোখ ভালো থাকবে ছোট্ট অভ্যাসে যা আমরা সহজে গড়ে তুলতে পারি।

অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সব কাজই এখন কম্পিউটারে, তাই দিনে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা একাধারে তাকিয়ে থাকতে হয় স্ক্রিনের দিকে। হাতে থাকা স্মার্টফোন, ট্যাব, ই-বুক রিডার, টেলিভিশনও চোখ জোড়াকে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত অবসর দেয় না।

অবিরাম চলার কারণে পৃথিবীর রূপ রঙ দেখার একমাত্র অবলম্বন চোখের ওপর চাপ পড়ে সহ্যক্ষমতার চেয়ে বেশি। চোখ জ্বালাপোড়া, চুলকানো, পানিপড়া, ঘুম ঘুম ভাব হওয়া, ঝাপসা দৃষ্টি, একটা জিনিসকে একাধিক দেখাসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

চোখের মতো গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গকে সুস্থ রাখা আমাদের জন্য খুবই জরুরি। চোখকে ভালো রাখতে ছোট্ট কিছু অভ্যাসের চর্চা করে নিতে পারেন। এতে আপনার চোখের স্বাস্থ্য থাকবে আশঙ্কামুক্ত। আর তাই-

একদৃষ্টিতে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকলে অনেক সময় চোখ জ্বালা করে ওঠে। এমন হলে দশ থেকে পনেরো সেকেন্ড দুই হাতের তালু একসঙ্গে ঘষতে থাকুন। হাতে উষ্ণতা আসলে চোখের ওপর রাখুন। এভাবে চার থেকে পাঁচবার করলে চোখের ব্যথা অনেকটা দূর হবে।

দীর্ঘক্ষণ টিভি বা কম্পিউটারের সামনে তাকিয়ে থাকতে হলে মাঝে মাঝেই চোখের দৃষ্টি ফেলুন। এই অভ্যাস আপনার চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করবে।

কাজের ফাঁকে দুয়েক ঘণ্টা পরপর বাইরের দিকে বা অন্যদিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারেন। এতে চোখের সিলিয়ারি মাসল কিছুটা বিশ্রাম পায়।

চোখে ব্যথা করলে ডান-বাম, ওপর-নিচে কয়েকবার তাকান। এতে চোখের ব্যায়াম হবে। স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস ধরে রেখে এই ব্যায়াম করলে ভালো উপকার দেবে।

প্রতিদিন কাজের সময় দুয়েকবার চোখে স্বাভাবিক ঠাণ্ডার পানি ঝাপটা দিতে পারেন। চোখে কোনো ময়লা পড়লেও ধুয়ে যাবে, চোখ থাকবে নিরাপদ।



মন্তব্য চালু নেই