ছাত্রলীগের কেরামতিতে বাণিজ্য মেলায় ঢোকা ফ্রি

অভ্যন্তরীণ ঝামেলার জের ধরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার টিকিট কাউন্টারগুলো রোববার এক ঘণ্টা বন্ধ রাখে ছাত্রলীগের শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) শাখার কর্মীরা। এরফলে ওই এক ঘণ্টা দর্শনার্থীদের মেলায় প্রবেশে পকেটের পয়সা খরচ করে কোনো টিকিট কাটতে হয়নি। পরে অবশ্য সমঝোতায় পৌঁছানোর পর আগের মতো কাজ শুরু হয় কাউন্টারগুলো থেকে।

প্রতক্ষ্যদর্শী ও সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, রোববার বাণিজ্য মেলার ২৪তম দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মেলার ভিআইপি গেট সংলগ্ন গেটের ইজারাদার মীর ব্রাদার্সের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন শেকৃবি ছাত্রলীগের কর্মীরা। মোটামুটি ১টার দিকে প্রধান গেটে অবস্থান নিয়ে উপস্থিত নিরাপত্তারক্ষীদের সামনেই প্রথম গেটের সবগুলো টিকিট কাউন্টার বন্ধ করে দেন তারা। হঠাৎ এভাবে মেলার গেটে একদল ছাত্রের অবস্থান নেয়ায় দর্শনার্থীদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের আশ্বাস দেন, ‘ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে মেলা দেখা ফ্রি।’

পরে দুপুর ২টার দিকে মীমাংসায় পৌঁছানোর পর গেট থেকে চলে যান ছাত্রলীগের কর্মীরা।
মেলার প্রথম গেটের দায়িত্বে থাকা বাবুল মিয়া বলেন, ‘কৃষি ভার্সিটি শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কথা বলা হচ্ছে, আমরা নাকি সেন্ট্রাল ছাত্রলীগের সেক্রেটারি জাকির হোসেনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছি। কথাটি ঠিক নয়, তারা আসলে মেলায় আধিপত্য বিস্তারের জন্যই এসেছিল।’

মেলার ভিআইপি গেটের ভিআইপি ইনচার্জ কাজী তারেক মোশারফ মুকুল বলেন, এটা আসলে বড় কিছু নয়, শুধুই ভুল বোঝাবুঝি। এখন সবকিছু আমাদের হাতে আছে।

মেলার গেটের ইজারাদার মীর ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মীর শহীদুল আলম বলেন, আমি কিছু জানি না, কেন হঠাৎ কৃষি ভার্সিটির ছেলেরা মেলার গেট ফ্রি করে দিয়েছিল। তবে পরবর্তীতে আমরা ডিসি সাহেবসহ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছি।

শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ দাস বলেন, সেন্ট্রাল ছাত্রলীগের সঙ্গে কোনো ঝামেলা এখানে ছিল না। গেটে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের সঙ্গে সমস্যা করায় জুনিয়ররা গেট ফ্রি করে দেয় শুনেছি। পরবর্তীতে আমরা গিয়ে ছাত্রদের ফিরিয়ে নিয়ে আসি।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জি জি বিশ্বাসের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান।



মন্তব্য চালু নেই