ছাত্রলীগ নেত্রীকে উত্ত্যক্ত করায় তিন ছাত্র আটক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ নেত্রীর সামনে আপত্তিকর ইঙ্গিতপূর্ণ গান গাওয়ার সময় তিন ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করেছে নেত্রীর অনুসারীরা। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের মাধ্যমে শাহবাগ থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ওই নেত্রী সুফিয়া কামাল হল ছাত্রলীগের সভাপতি খালেদা হোসাইন মুন।

আটককৃতরা হলেন- ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র সাজু মিয়া ও মাহবুবুর রহমান এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র এনামুল হক। এদের মধ্যে প্রথম দুইজন স্যার এ এফ রহমান হলের এবং তৃতীয়জন বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, রোববার দুপুরে খালেদা ইনস্টিটিউট থেকে বের হওয়ার সময় চারজন ছেলে তাকে উত্ত্যক্ত করে গান গাওয়া শুরু করে। তিনি তাদের কাছে গিয়ে হঠাৎ এমন গান গাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা আপত্তিকর কথা বলা শুরু করে। এসময় তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন ওই চারজনকে ধরে মারধর করে। পরে ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের সহায়তায় তাদেরকে আটক করে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খালেদা হোসাইন মুন বলেন, ‘আমি ক্যান্টিন থেকে বের হয়ে আসছিলাম এসময় কয়েকজন আমার পেছন থেকে গান গাওয়া শুরু করে। পরে আমার ডিপার্টমেন্টের কয়েকজন এসে তাদেরকে মারধর করে। এসময় পরিচালক নেমে এসে তাদেরকে আটক করে। চারজনের মধ্যে একজন পালিয়ে যায়।’

তবে, জানতে চাইলে ভিন্নকথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম আমজাদ আলী। তিনি বলেন, ‘খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সামনে আটককৃতরা এক ছাত্রীকে জিন্স পরা দেখে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করে। এসময় ওই ছাত্রী ঘটনার প্রতিবাদ করে। তার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রও ছিল। একপর্যায়ে তারা ওই ছাত্রীকে মারতে উদ্যত হয় এবং ওই ছাত্রকে চড়-থাপ্পড় দেয়। পরে তাদেরকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।’

আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগও রয়েছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুবকর সিদ্দিক জানান, তারা বর্তমানে থানায় আছে। তাদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো মামলা করা হয়নি। সোমবার তাদেরকে কোর্টে তোলা হবে।



মন্তব্য চালু নেই