ছাত্রীকে প্রকাশ্যে মারধর : আটক রুহুলকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ

হবিগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় আটক রুহুল আমিনকে গাজীপুরের টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মোহম্মদ আতাব উল্লাহ এ নির্দেশ দেন।

এছাড়া আদালত আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শিশু আদালতে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

এর আগে দুপুর ১টায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক হবিগঞ্জের সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত সুলতানার আদালতে রাহুলকে হাজির করেন। কিন্তু বিচারক মামলাটি তার আওতাভূক্ত না হওয়ায় গ্রহণ না করে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পরে বিকাল পৌনে ৩টার দিকে হবিগঞ্জ সদর থানার এসআই এ কে এম রাসেলের মাধ্যমে জেলা ও দায়রা জজ আতাব উল্লাহর আদালতে রাহুলকে হাজির করা হয়। এ সময় আদালতে জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শোয়েব আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বিকাল সোয়া ৩টার পর আদেশ দেওয়ার কথা বলে বিচারক বিরতিতে যান। এরপর ৫টা ৩৬ মিনিটে রাহুলকে টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হবিগঞ্জ সদর থানার এসআই ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় গত ২৬ আগস্ট হবিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে চড়-থাপ্পর মারে রাহুল। এ ঘটনার ভিডিওচিত্র ১ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে চাঞ্চল্য তৈরি হয়।



মন্তব্য চালু নেই