ছুরিকাঘাতে দুই ইসরায়েলি নিহত

ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে ছুরিকাঘাতে দুই ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক নারী ও তার ছেলে। ফিলিস্তিনি এই আক্রমণকারী অন্তত চারজনকে ছুড়িকাঘাত করে হত্যার পর পুলিশের গুলিতে নিহন হন। গত শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

ইসরায়েলি পুলিশ জানায়, রামাল্লার নিকটবর্তী ফিলিস্তিনি শহর আর বিরাহ অধিবাসী মোহান্নাদ হালাবি নামের ১৯ বছরের এক যুবক এই হামলাকারী। হামলার পরপরই ইসরায়েলের সীমান্তরক্ষী পুলিশের গুলিতে সে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।

সংবাদসংস্থা এপি নিউজ এক প্রতিবেদনের জানায়, প্রাথমিক তদন্ত শেষে জানা যায় হামলাকারী প্রথমেই কয়েকজনকে ছুরিকাঘাত করে। এর পরপরই সে আহত একজনের কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে পর্যটক এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়েন।এতে ঘটনাস্থলেই সে নিহত হয়।

এদিকে, রবিবার সকালে পুলিশের গুলিতে অপর এক ফিলিস্তিনি মারা যান। জেরুজালেমের বাব আল-আমুদ এলাকায় এক ইসরাইলি কিশোরকে ছুরিকাঘাতে আহত করার পর সেও পুলিশের গুলিতে নিহত হয়।

বুকে এবং পিঠে আঘাতের কারণে ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরকে শারে জেদেক মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে ওয়েস্ট ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এর আগে হামলাকারী হালাবির বাড়ির কাছে ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলি সৈন্যদের মধ্যে রাতব্যাপী সংঘর্ষ হয়েছে। অপর এক বিবৃতিতে জানা যায়, প্রথম হামলার পর আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে ৪০ জনকে আটক করে নিয়ে গেছে ইসরাইলি সৈন্যরা।

মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ার বিশেষ সমন্বয়কারী নিককোলে ই ম্লাদিনোভ হালাবির ওই আক্রমণের নিন্দা জানিয়ে এক টুইটার বার্তায় বলেন, ‘আমি জেরুজালেমে দুই ইসরাইলিকে হত্যার নিন্দা জানাই।’ একই সাথে ইসরায়েলিদের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যার বিরুদ্ধে সকলকে শক্ত অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

নিরাপত্তা পরিস্থিতির এ রুগ্ন দশার জন্য প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুর সমালোচনা করেছেন ইসরাইলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এ ব্যাপারে এক জরুরি মন্ত্রীসভার বেঠক আহ্বান করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই