ছেলে-মেয়েদের গণিত ও ভাষা শিক্ষায় দক্ষ করে তোলে বাবার আদর!

বাবার আদর আদর্শ সন্তান গড়ে তুলতে সহায়তা করে। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রেও ওষুধের মতো কাজ করে। টিনএজারদের লেখাপড়ায় ভালো করতে পারে বাবার আদর। এক গবেষণায় বলা হয়, বাবার আদর পেলে ছেলেরা ভাষা জ্ঞানে এবং মেয়েরা গণিতে পাকা হয়ে উঠতে পারে।

গবেষণায় দেখা যায়, নিম্ন আয়ের পরিবারে বাবার আদর সন্তানকে অনেক বেশি আশাবাদী, আত্মনির্ভরশীল এবং লেখাপড়ায় ভালো ফল অর্জনে সহায়তা করে। এমনকি বাবা কম শিক্ষিত হলেও তার আদরই যথেষ্ট। এদের সন্তানরা হোমওয়ার্ক অন্যদের চেয়ে মনোযোগের সঙ্গেই করে।

আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের গবেষক মেরি-অ্যানা সুইজো জানান, নিম্ন আয়ের বাবারা তার সন্তানকে নিজের ওপর বিশ্বাস আনতে শেখান। সন্তানরা ক্রমেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে ওঠে। এই ইতিবাচক বিষয়টি ছেলে-মেয়ে উভয় সন্তানকেই নানা দিক থেকে শক্ত প্রতিযোগী করে তোলে।

বাবার হৃদয়ের উষ্ণতা প্রথম অনুভবের পর মেয়েদের মনে আশাবাদ জন্মায়। এই অনুভূতি শিক্ষা অর্জনে ভালো ফলাফল আনতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করে তোলে। বিনিময়ে তারা গণিতে দক্ষ হয়ে ওঠে।

আবার ছেলেদেরও শিক্ষাজীবনে সফল হয়ে ওঠার সঙ্গে বাবার আদরের বিষয়টি বেশ জড়িত বলে মনে করা হয়। পিতার স্নেহে তারা আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। ক্রমেই ভাষাগত জ্ঞানে দক্ষ হয়ে ওঠে তারা। এ ছাড়া আর্ট ক্লাসেও তারা ভালো করতে থাকে।

এ কারণেই শিক্ষায় উৎসাহ জোগাতে ছেলে-মেয়েকে যথেষ্ট স্নেহ দিতে বাবাকে পরামর্শ দেওয়া উচিত কাউন্সিলর এবং শিক্ষাবিদদের। এটা সন্তানের মাঝে ইতিবাচক প্রভাব হয়ে দেখা দেয়। আবেগ এবং অন্যান্য বিষয়কে উন্নত করতেও বাবার স্নেহের প্রতাপের কথা তুলে ধরেছে বিশেষজ্ঞরা।

এ গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ‘সেক্স রোলস’ জার্নালে। গবেষকরা ১৮৩ জন সিক্সথ-গ্রেডের শিক্ষার্থীদের বিবেচনা করা হয় যারা সবাই কম আয়ের পরিবার থেকে এসেছেন। এদের অনেকেই আবার সংখ্যালঘু কোনো গোত্রের মানুষ। পড়ালেখার কাজে তারা কতটা আশাবাদী এবং কেমন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে সে বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের ভিত্তিতে এ গবেষণা সম্পন্ন হয়। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস



মন্তব্য চালু নেই