জগন্নাথের জন্য কেরানীগঞ্জে জমি অধিগ্রহণ শিগগির

পুরান ঢাকা থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেরানীগঞ্জ স্থানান্তরের জন্য এরই মধ্যে জমি পছন্দ করেছে সরকার। যেখানে জগন্নাথের জন্য এক হাজার শিক্ষার্থীর জন্য হল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে তার পাশের ওই জমিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক হল করবে সরকার।

সচিবালয়ে সংবাদ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ কথা জানান। তিনি জানান, নতুন জায়গায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হল, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। যদিও সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। তবে বেশিরভাগ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ব্যবস্থা করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, কেরানীগঞ্জের স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর সঙ্গে জায়গা নিয়ে কথা হয়েছে তার। দুই একদিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে জমি অধিগ্রহণে যাবেন তারা।

ছাত্রসংখ্যার দিক থেকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথের শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো আবাসন সুবিধা নেই। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোড থেকে কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরের পর খালি করা জায়গায় হল নির্মাণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে।

তবে সরকার এই জায়গায় হল নির্মাণ করতে চায় না। এর বদলে কেরানীগঞ্জেই বিশ্ববিদ্যালয় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কেরানীগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ২৫ বিঘা জমি কেনা হয়েছে। শিগরিগই এর আশপাশে আরো জমি কেনা হবে যাতে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা যায়।’

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যতটুকু জায়গা লাগবে ততটুকুই কেনা হবে। তবে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তুলনা করে দেখেছি ২৫ বিঘার সমপরিমাণ জায়গা নিলে যথেষ্ট হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সমস্যা সমাধানে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। শিক্ষার্থীরা যাতে কোনো ধরণের ভোগান্তির শিকার না হয় সেজন্য একই জায়গায় ক্যাম্পাস এবং আবাসিক হল করা যায় সেজন্য আমরা জায়গা নির্ধারণ করেছি।’

বিশ্ববিদ্যালয় স্থানান্তর হলে জগন্নাথের বর্তমান অবকাঠামোসহ এই জায়গার কী হবে এমন প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যখন নতুন জায়গায় সম্পূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণ হয়ে যাবে তখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিবে এখানে তারা কি করবে। কারণ এটা তাদের নিজস্ব জায়গা।’



মন্তব্য চালু নেই