জঙ্গিদের বাঁচাতে খালেদা জিয়ার এত মায়া কান্না কেন?

সাম্প্রতিক সময়ে দেশে সংঘটিত গুপ্তহত্যার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত জড়িত বলে সংসদে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রতিদিন ইফতারে মিথ্যাচার করে চলেছেন মন্তব্য করে তার জঙ্গি সম্পৃক্ততার বিষয়েও প্রশ্ন তুলেন প্রধানমন্ত্রী।

সংসদ নেতা বলেন, একজন অধ্যাপককে মারার সময় হাতে নাতে ধরা পড়লো যে জঙ্গী তার জন্য খালেদা জিয়ার এত মায়াকান্না কেন? জঙ্গীদের বাঁচাতে খালেদা জিয়ার এত মায়া কান্না কেন। তাহলে কি খালেদা জিয়ার সঙ্গে গুপ্ত হত্যার সম্পর্ক আছে?

বুধবার জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারন আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গীবাদ এদেশে কেউ চালাতে পারবে না। আমরা এর বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার, আমরা এ ব্যাপারটি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী জোর তৎপরতা চালাচ্ছে। এরপর তিনি প্রস্তাবিত বাজেটের গুরুত্ব ও কার্যকারীতা নিয়ে বক্তব্য দেন।

বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের জিডিপি এখন অন্যদের কাছে ইর্ষণীয়। আমরা এখন নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখেছি। এখন আর কারো মুখাপেক্ষি হতে হয়না। এবার বাজেটে ৭ দশমিক ২ ভাগ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে, ইনশাল্লাহ তা অর্জিত হবে। অর্থসামাজিক প্রতিটি সুচকে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে যাবে। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বিএনপি সরকার বিদ্যুৎ না বাড়িয়ে কমিয়ে আনে। আমরা ক্ষমতায় এসে ১৪ হাজার ৭০০ মেগাওয়ার্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি। রামপালসহ কোন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পরিবেশের কোন ক্ষতি করবে না বলে জানান তিনি। আমরা কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ওয়েস্টেজ বিদেশীদের নিয়ে যেতে বলেছি। আমাদের গ্যাসের সমস্যা রয়েছে, নতুন কুপ খনন করছি, এলএনজি টার্মিনাল করছি-আগামীতে আর গ্যাসের চাহিদা থাকবে না।

সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা- চট্টগ্রাম, ঢাকা- ময়মনসিংহ, ঢাকা- যশোর , ঢাকা সিলেট ৪ লেন সহ রেলের প্রভ’ত উন্নয়ন করছি। এখানে ঢাকা চট্গ্রাম এক্সপ্রেস ওয়ে তৈরি করেছি। বরিশাল থেকে শুরু করে দক্ষিনাঞ্চলে রেল যাবে এটি আমাদের পরিকল্পণা রয়েছে। ইলেকট্রিক ট্রেন আমরা করে দেব।

বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকার ওষুধ দেয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় করা হবে। সামাজিক সেবা কর্মকান্ড ব্যাপকভাবে চালাচ্ছি, ১২৮টি প্রকল্প চালু রয়েছে। গৃহহারাদের ঘরবাড়ি তৈরি করে দিচ্ছি। দেশে একটা মানুষও গৃহহারা থাকবে না।

ডিজিটাল বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা বঙ্গবন্ধু সাটালআইট আমরা উৎক্ষাপণ করবো। আমরা বহু স্কুল সরকারী করণ করেছি, এমপিও ভুক্ত করেছি। খাদ্যে আমরা স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। এখন আর কেউ না খেয়ে থাকে না। মেয়েদের কর্মসংষ্থানের ব্যবস্থা করেছি। স্বল্প সুদে ঋণ দিচ্ছে। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনা বাহিনী সৌবাহিনীসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে শক্তিশালী করতে অনেক গুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। সব বাহিনীকে আরো আধুনিক করে গড়ে তোলা হচ্ছে। শ্রমিকদের উন্নয়নে আমরা শ্রমনীতি তৈরি করেছি। গার্মেন্টস সহ সব শ্রেনীর শ্রমিকের বেতনসহ সুযোগ সুবিধা বাড়ান হয়েছে। শেয়ার বাজারে দূর্নীতি দুর করতে অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যুক সমাজকে পুজিবাজার সম্পর্কে শিক্ষা দিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি। যাতে কেউ অবৈধভাবে পুজিবাজার আঘাত করতে না পারে সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রতিবেশী দেশ বিশেষ করে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।



মন্তব্য চালু নেই