জঙ্গিবাদের কাছে মাথা নত করবে না সরকার

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, জঙ্গিবাদের কাছে মাথা নত করবে না সরকার।

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় পুলিশের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলা ও বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আজ শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

ওই সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ সোহরাব উদ্দিন আহমেদ, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ রেজওয়ান আহাম্মেদ তৌফিক ও কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ মো. আফজাল হোসেন।

প্রতিমন্ত্রী পুলিশের ওপর হামলা ও জঙ্গিদের অবস্থানসহ সংঘর্ষ চলাকালে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে তিনি সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত গৃহবধূ ঝরনা রানী ভৌমিকের বাসভবনে যান এবং নিহতের স্বজনদের সান্ত্বনা দেন। এ সময় নিহতের স্বামী, দুই ছেলেসহ স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

পরে মন্ত্রী নিহত গৃহবধূর পরিবারকে এক লাখ টাকা আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দেন।

উপস্থিত সংবাদকর্মীদের প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘হামলার ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক, অমানবিক ও ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমরা আগামীতে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলে জঙ্গিবাদকে মোকাবিলা করব। আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছি। কোনো রকম জঙ্গি তৎপরতা আমাদের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে পারবে না। এ ব্যাপারে সরকার দৃঢ় অবস্থানে আছে এবং আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বের কারণে আগামীতে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে।’

এদিকে কিশোরগঞ্জে গতকাল পুলিশের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলা ও বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় আজ সেখানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

ঘটনাস্থল আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়সংলগ্ন চর শোলাকিয়া এলাকার রাস্তাঘাটে খুব একটা লোক চলাচল নেই। রাতে কয়েক পশলা বৃষ্টির পরও এখনো রাস্তায় নিহত পুলিশের রক্তের দাগ রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও র‌্যাব অবস্থান নিয়ে টহল দিচ্ছে।

এ ঘটনার পর থেকে গতকাল রাত পর্যন্ত পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত সাতজনকে আটক করেছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। তাঁরা হলেন শফিউল ইসলাম ওরফে আবু মোকাদ্দেল, আহসান ওরফে সাফি উদ্দিন, সোহেল মিয়া, আবদুল হান্নান, তারা মিয়া, মামুন ও জাহিদুল হক।

তবে এ ঘটনায় কোনো মামলা না হলেও মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানা গেছে।

এদিকে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত দুই পুলিশ সদস্যের জানাজা গতকাল রাতে জেলার পুলিশ লাইনস মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর নিহত পুলিশ সদস্য আনসার উল্লাহকে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে এবং জহিরুল হককে নেত্রকোনার মদন উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে নিজ নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়।

এ ছাড়া ময়মনসিংহ সিএমএইচে হামলায় গুরুতর আহত আটজনের মধ্যে ছয়জনকে গতকাল বিকেলে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই