জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার ফর্মুলা ফখরুলের

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার জন্য সরকারকে ফর্মুলা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানী নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ ফর্মুলা দেন।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখনও জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল। আর তখন বিএনপি দেশের বিভিন্ন রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী ও আলেম-ওলামাদের নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলেছিল। আর সেখানে আলেম-ওলামারাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।’

কীভাবে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলা যেতে পারে, এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকেই এর দায়িত্ব নিতে হবে। কারণ তারা সরকার পরিচালনা করছে। তাই জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে সরকারকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আর জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হলে আলেম-ওলামাদের বাইরে রাখা যাবে না।’

দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এক পক্ষের সাথে অন্য পক্ষের কথা কোন মিল নেই। এভাবে চলতে থাকলে দেশে উগ্রপন্থিদের উত্থান ঘটতে পারে। কারণ তারা জঙ্গিবাদ নিয়ে অপরাজনীতি করছে।’

তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘এই বিষয়ে অপরাজনীতি করতে দেয়া যায় না। কারণ এই বিষয়ে সারাবিশ্ব ঐক্যবদ্ধ। তাই জঙ্গিবাদ দমনে আমাদেরকে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘বর্তমান দেশে গণতন্ত্রকে সঙ্কুচিত করে রাজনীতি চলছে। এভাবে চলতে পারে না। তাই দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। আর জন্য অবশ্যই সংলাপ ও আলোচনা মাধ্যমে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনিবার্য।’

দুই বিদেশি হত্যার সাথে বিএনপি ও জামায়াত জড়িত- প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনার এই বক্তব্য প্রতিক্রিয়ার ফখরুল বলেন, ‘আগেও বলেছি আর এখনও বলছি এই হত্যার সাথে বিএনপি জড়িত নয়।’ আমরা আর সহিংতার রাজনীতি চাই না- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের এই বক্তব্যে পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিএনপি তার বক্তব্যেকে সমর্থন করেছে। আর এর তিনি যদি সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণ করেন তাহলে প্রমাণ হবে তিনি সত্যিই হানাহানির রাজনীতি চান না।’

সরকারের কাছে আপনাদের চাওয়া কি?- এই প্রশ্নে প্রতিক্রিয়ায় মির্জা আলমগীর বলেন, ‘রাজনীতির ঊর্দ্ধে উঠে দুই বিদেশি হত্যার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে, যারা এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত তাদের গ্রেপ্তারের মাধ্যম বিচারের আওতায় আনতে হবে, বিএনপির নেতাকর্মীদরে নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং আটককৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে।’

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, ‘বেগম জিয়ার চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসা শেষ হলেই তিনি দেশে ফিরবেন।’

এসময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই