জঙ্গিবাদ দমন সংলাপে বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করা হবে : যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি সারাহ সোল বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার বৃহত্তর সংলাপে বাংলাদেশকে সম্পৃক্ততা করা হবে। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে প্রাসঙ্গিকভাবে তা বিবেচনায় করা হবে। বুধবার ওয়াশিংটন ডিসির ফরেন প্রেস সেন্টারে আপডেট অন হোয়াইট হাউস সামিট টু কাউন্টার ভায়োলেন্ট এক্সট্রিমিজম ফলো অন প্রসেস শিরোনামের এক রাউন্ড টেবিল বৈঠকে ভয়েস অব আমেরিকার সাংবাদিক সেলিমের বাংলাদেশ-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। নিউ ইয়র্কের ফরেন প্রেস সেন্টার থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাউন্ড টেবিল বৈঠকের প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন জাস্ট নিউজ সম্পাদক মুশফিকুল ফজল আনসারী।

সারাহ সোল বলেন, জঙ্গিবাদীদের আদর্শের দ্বারা যে সহিংসতা প্রচার হয় তা হয়তো অনেক বিবেচনায় সন্ত্রাসবাদ হিসেবে বিবেচ্য হয় না। তবু এটা সমাজকে ও মানুষকে একটা চরম ঝুঁকির সম্মুখীন করে। আর এটা জাতিগত কর্মের চাইতে রাজনৈতিক ভিত্তিতে ঘটতে পারে যা কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উদ্যোগকে স্বাগত জানাবে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশ উন্নয়ন ও মানব কল্যাণ জোরদারে সন্ত্রাসবাদবিরোধী যে প্রতিরোধব্যবস্থা গ্রহণ করছে তা একটা চমৎকার সমাধানের পথ উন্মুক্ত করছে। সমাজব্যবস্থা থেকে চরম জঙ্গিবাদ দমনে এ ধরনের বড় সংলাপে সম্পৃক্ত হয়ে বাংলাদেশ লাভবান হতে পারে এবং একটা সুন্দর দৃষ্টান্ত হতে পারে।

উগ্র জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী আইএস মোকাবিলায় মুসলিমবিশ্বকে একত্রিত করে সমন্বিত কোনো উদ্যেগ গ্রহণের পরিকল্পনা নেওয়া যায় কিনা- জাস্ট নিউজ সম্পাদকের এমন এক প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি সারাহ সোল বলেন, সন্ত্রাসবাদের নিয়মিত এ হুমকি মোকাবিলায় আত্মনির্ভরশীল প্রতিটি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ছাড়াই তাদের করণীয় নির্ধারণে সক্ষম। তবে বিভিন্ন পন্থার চরম সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় একটি বৈশ্বিক আলোচনায় আমরা সবাইকে উৎসাহিত করছি। এ ক্ষেত্রে আমরা কিছু সাধারণ মূলনীতি ও বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছি যা সন্ত্রাস মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, ধর্মীয় প্রবৃত্তি, জাতিগত স্বাতন্ত্র্য, বিভক্তি সন্ত্রসবাদের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে আধুনিকতার প্রসার ঘটানো গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই বিশ্বের বিভিন্ন সম্প্রদায় ও অঞ্চলের যার হুমকিতে রয়েছে তারা তাদের মতো করে তা মোকাবিলা করবে। তবে কিছু মূল বিষয় রয়েছে যা সবাই অনুসরণ করতে পারে। বিশ্বসম্প্রদায় কেন তাদের আলোচনায় চরম জঙ্গিবাদের বিরোধিতা করছে এটাও এ আলোচনার অর্ন্তভুক্ত।

সন্ত্রাসবাদ চরম হুমকি উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিষয়টির প্রতিরোধ জাতিসংঘের এজেন্ডায় অর্ন্তভুক্ত করছেন মহাসচিব বান কি-মুন। এটা সদস্য রাষ্ট্রসমূহের দায়িত্ব। দেশের যেকোনো একটি সম্প্রদায়, সরকারবিরোধী সম্প্রদায় দ্বারা সন্ত্রাসবাদের হুমকি আলাদভাবেও তৈরি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সাধারণ অধিবেশনে তা নিয়ে কথা উঠতে পারে। সম্ভাবনার জন্যও সব দরজা খোলা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ওবামা প্রশাসনেসর এই শীর্ষ কর্মকর্তা।



মন্তব্য চালু নেই