জঙ্গি অর্থায়নে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশ বাদ

জঙ্গি অর্থায়নে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে এসেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিং (এপিজি) এর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে বাংলাদেশকে নিয়ে প্রতিনিধিরা যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তা সন্তোষজনক হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ তালিকা থেকে বাংলাদেশকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানান শুভঙ্কর সাহা।

উল্লেখ্য, এপিজি হচ্ছে ‘অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন’ বিষয়ে মানদণ্ড নির্ধারণকারী এশিয়া অঞ্চলের সংস্থা। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪১টি দেশ এর সদস্য। এপিজি প্রতিনিধিদল সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মকাণ্ডের মূল্যায়ন করে থাকে। ২০০৩ সালে বাংলাদেশকে সংস্থাটি প্রথম মূল্যায়ন করে। এরপর বাংলাদেশ নিয়ে ২০০৮ সালে এ ধরনের মূল্যায়ন করা হয়েছিল। ওই সময়ে বাংলাদেশ সন্ত্রাসী অর্থায়ন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ কার্যক্রমে খুব বেশি সফলতা দেখাতে পারেনি। ফলে বাংলাদেশকে কালো তালিকার আগের ধাপ ‘ধূসর’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরবর্তী নানা উদ্যোগের মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর সেখান থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে আসে। সর্বশেষ ২০১৫ সালের অক্টোবরে মূল্যায়ন করে গেছে এপিজি। ২০১৪ সালে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশকে মুক্তি দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ২০১৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি আইসিআরজি প্রক্রিয়া থেকে বের হয়ে এফএটিএফ পূর্ণভাবে বাস্তবায়নকারী দেশের তালিকাভুক্ত হয়। প্রতিবেশী দেশ ভারতও এফএটিএফভুক্ত দেশ। প্রচলিত সাধারণ নিয়মে বিশ্বের কোনও দেশ আইসিআরজি প্রক্রিয়াভুক্ত থাকলে আন্তর্জাতিক আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সেই দেশটির ঋণপত্র বা এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খরচ বেড়ে যায়। এ ছাড়া বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।



মন্তব্য চালু নেই