জঙ্গি দমনে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিশ্বে দৃষ্টান্ত

বাংলাদেশের জঙ্গিবিরোধী অভিযান বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জঙ্গিবিরোধী অভিযান নিয়ে অহেতুক সমালোচনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আজ বুধবার (০৫ এপ্রিল) পুলিশ হাউজিং সোসাইটির প্লট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গি দমনে বাংলাদেশের পুলিশ উন্নত দেশগুলোর চেয়ে বেশি সফলতা দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেন সরকার প্রধান। উন্নত দেশগুলোতেও দেখলাম না, ঘটনা ঘটার আগে যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করতে যাচ্ছে বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত, তাদেরকে তারা কিন্তু এ পর্যন্ত ধরতে পারেনি। এই দৃষ্টান্তটা আমরা বাংলাদেশে দেখাতে পেরেছি।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরামহীন কাজের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমার খারাপ লাগে এই যে দিনরাত পরিশ্রম করা..সব সময় একটা চাপ মাথায় নিয়ে কাজ করা। প্রশংসা করবে, সাধুবাদ দিবে,উৎসাহ দিবে.. তা না করে এটা হল না কেন, ওটা হল কেন? এটা হলে ওটা হত। নানা জ্ঞান ছড়াতে থাকে। যাদের দায়িত্ব নেই তারা অনেক কিছুই বলতে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের তো বাংলাদেশের মানুষের অভ্যাস আছে যে কাজই আপনারা করেন, কিছু লোক থাকে একটা কিন্তু খুঁজে বের করা। কোন জায়গাটায় কী ধরনের অপারেশন চালাতে হবে, সে জায়গাটার অবস্থাটা বুঝে, সেখানকার আশপাশের লোকজন, ঘনবসতি দেশ আমাদের, কারো কোনো ক্ষতি না হয়, অনেক কিছু বিবেচনা করে আমাদের পদক্ষেপ নিতে হয়।’

তিস্তা চুক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে ভারতের সঙ্গে কোনো চুক্তি করবেন না বলে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করার পাশাপাশি এনিয়ে বিএনপির বিরোধিতাকে আমলে নিচ্ছেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আগামী শনিবার চার দিনের সরকারি সফরে ভারত যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। এই সফরে ভারতের সঙ্গে ৩৫টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের বিষয়গুলো আগেই জানানোর দাবি তুলে বিএনপি বলেছে, ভারতের সঙ্গে দেশের স্বার্থ হানিকর চুক্তি হলে তা মেনে নেওয়া হবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশ বেচে দেবে…কী চুক্তি করবে…এই চুক্তি হলে মানব… ওই চুক্তি হলে মানব না…কে তারা? কী মানলো না মানলো, কার কী আসে যায়? ১৯৯৬ সালে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি এবং তার আগে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি নিয়ে বিএনপির সমালোচনার কথাও বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি নিয়ে তিনি বলেন, এক সময় বিএনপি নেতারা এটাকে গোলামীর চুক্তি বলত। তারপর দেখা গেল, সেই চুক্তি বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ লাভবান। গোলামী না, বরং অনেক জমি অনেক কিছু বাঙালিরা পেয়েছে।

অনুষ্ঠানে মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক শহীদুল ইসলামসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের জন্য অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া ১৩৬তম ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সম্মেলনে যোগ দিতে আসা চেক রিপাবলিকের প্রতিনিধিদল দেখা করে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। এ সময় তাঁরা দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।



মন্তব্য চালু নেই