জনসমর্থন থাকলে সরকার নির্বাচন দিবে কেন?

আন্তর্জাতিক একটি প্রতিষ্ঠানের সাম্প্রতিক এক জরিপে সরকারের জনপ্রিয়তা বেড়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, জনসমর্থন থাকলে সরকার নির্বাচন দিবে কেন?

শনিবার টিসিবি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সংলাপের তিনি এ কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক একটি প্রতিষ্ঠানের সাম্প্রতিক এক জরিপে সরকারের জনপ্রিয়তা বেড়েছে বলে যে ফলাফল পাওয়া গেছে, সেই ফলাফল কি একটি মধ্যবর্তী জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করে তুলছে এমন প্রশ্নের জবাবে এইচ টি ইমাম বলেন, নির্বাচন দেয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না এজন্যে যে সরকার জনসমর্থিত। জনসমর্থন থাকলে সরকার নির্বাচন দিবে কেন?

জরিপটি সম্পর্কে তিনি বলেন, যেহেতু এধরণের জরিপ বিভিন্ন সংস্থা ক্রমাগতই করে যাচ্ছে, কাজেই এর ভিত্তিতেই সরকার এখনই কোন সিদ্ধান্ত নিবে না।

প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, আইআরআই জরিপের ফল যাই হোক না কেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোন সম্ভাবনা নেই।

অন্যদিকে জরিপের বিশ্বাসযেগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ।

তিনি বলেন, আমাদের দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল সরকার এত জনপ্রিয় হলে নির্বাচন দিক।

হান্নান শাহ বলেন, সরকার বা বিরোধী দলের কারোরই এই জরিপটাকে আমলে নেয়ার কোন দরকার নেই।

তবে একই জরিপের একটি অংশে যেখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির যে ব্যাপারটি উঠে এসেছে সেটিকে সম্পূর্ণ সমর্থন জানান তিনি।

ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস এর অধ্যাপক ও গবেষক ডঃ সলিমুল্লাহ খান বলেন, একটি জরিপের ফলাফল নিয়ে সরকার মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে পারেনা।

তিনি মনে করেন পৃথিবীর অনেক জায়গায় নানান জনমত জরিপ হয় কিন্তু সেটির উপর ভিত্তি করে কখন নির্বাচন দেবার বিধান দেখা যায়না।

তিনি আরও বলেন, সরকার চাইলে আগাম নির্বাচন দিয়ে নিজের জনপ্রিয়তা প্রমাণ করতে পারে তবে সেটা পরিপক্ব চিন্তা হবে না।

মধ্যবর্তী নির্বাচন দিলে কে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে সেটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ এলায়েন্স ফর উইমেন লিডারশীপের নির্বাহী পরিচালক নাসিম ফেরদৌস।

তিনি মনে করেন নির্বাচন একটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল ব্যাপার এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে নির্বাচন দিতে হলে সেরকম শক্তিশালী বিরোধী দল মাঠে থাকা প্রয়োজন।

সেজন্যে তেমন নির্বাচন দেয়ার তেমন কোন যৌক্তিকতা নেই বলে মন্তব্য করেন সাবেক এ রাষ্ট্রদূত।



মন্তব্য চালু নেই