জন্মতারিখ মিলিয়ে চিনে নিন কে হতে পারে আপনার সঙ্গী/সঙ্গিনী?

ভালবাসা কোনও অঙ্ক মানে না। কিন্তু ভালবাসার পিছনেও থাকে এক গভীর অঙ্ক। আর সেই অঙ্কের কথাই বলে জ্যোতিষবিদ্যা। আর সেই অঙ্ক জানা থাকলে কেল্লাফতে। আগে থেকেই জেনে নেওয়া কোন জুটি কতটা সুখী হয়। জ্যোতিষেরই অন্যতম শাখা সংখ্যাতত্বের মাধ্যমে এমন কিছু জানা যায় যা বাস্তব জীবনে মিলে যায়। খবর এবেলার।

সংখ্যাতত্বের এই হিসেব তৈরি হয় জন্মতারিখ থেকে। আর পাত্র ও পাত্রীর জন্মতারিখ অনুসারে মিল-অমিল বলে দেয়ে কোন জুটি কেমন। এই জন্মতারিখের হিসেবটা জেনে রাখা দরকার। প্রতিটি মানুষের জন্মতারিখ থেকে তৈরি হয় একটি সংখ্যা। সেটিই তাঁর জ্যোতিষ সংখ্যা। কীভাবে জানবেন আপনার সংখ্যা?

জেনে নিন আপনার জন্মতারিখ অনুসারে আপনার জ্যোতিষ সংখ্যা কী? ১, ১০-এ জন্ম হল জ্যোতিষ সংখ্যা ১। ২, ১১, ২০ তারিখে জন্ম হল ২। ৩, ১২, ২১, ৩০ মানে ৩। ৪, ১৩, ২২, ৩১ হলে সংখ্যা ৪। ৫, ১৪, ২৩ জন্ম তারিখ হল সংখ্যা ৫। ৬, ১৫, ২৪ তারিখে জন্ম হলে জ্যোতিষ সংখ্যা ৬। ৭, ১৬, ২৫ তারিখ হলে ৭। ৮, ১৭, ২৬ তারিখে জন্ম হলে ৮। ৯, ১৮, ২৭ তারিখে জন্ম হলে জ্যোতিষ সংখ্যা ৯।

১-এর সঙ্গে ১। এক্ষেত্রে দু’জনেই স্বাধীনচেতা। দু’জনেই ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদী। ফলে অনেক সময়েই দু’জনের একসঙ্গে থাকায় কিছু সমস্যা দেখা দেয়। ফলে একের সঙ্গে অপরের সংঘাত লাগা খুবই সাধারণ ব্যাপার।

১-এর সঙ্গে ২। এক্ষেত্রে ১ এর প্রভাব বেশি হয়। ২ সবসময়েই একটু পিছিয়ে থাকে। ১-এর বোঝা উচিত ২-এরও কিছু গুরুত্ব প্রাপ্য।

১-এর সঙ্গে ৩। এটা খুব ভাল জুটি। এই জুটি অত্যন্ত সুখের সঙ্গে দিন কাটাতে পারে। ৩-এর মধ্যে থাকে অদ্ভুত কল্পনা শক্তি আর ১-এর থাকে প্রাণশক্তি।

১-এর সঙ্গে ৪। এই জুটি ভালমন্দ মিশিয়ে। ১-এর প্রভাব তৈরি করে ৪। অনেক সময়েই মতের অমিল হয়। এরা যদি একে অপরকে গুরুত্ব দিতে পারে তবে বন্ধন শক্তিশালী হয়।

১-এর সঙ্গে ৫। এই জুটি নিয়েও অনেক সমস্যা। ১ এবং ৫ দুই সংখ্যাই সম্পর্কের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। আর তাই একে অপরকে খুব কম সময় দেয়। মাঝে মাঝে একের ইচ্ছা অন্যের উপরে চাপাতে গিয়ে অশান্তি হয়।

১-এর সঙ্গে ৬। এই জুটিতে ১ শক্তিশালী না হলে মুশকিল। ৬ সবসময়েই ১-এর উপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। আর এখানেই খারাপ ও ভাল দিক। পরস্পরের বোঝাপড়া না হলে সমস্যা।

১-এর সঙ্গে ৭। এটি যেন দু’টি পরস্পরবিরোধী শক্তি। কিন্তু যদি ঠিকঠাক মিল হয় তবে মারাত্মক ভাল ফল দিতে পারে। অনেক সময়ে ৭-এর প্রভাবে ১ বহির্মুখী হয়ে পড়ে।

১-এর সঙ্গে ৮। যদি ব্যবসায়ীয় সম্পর্ক বলা হয় তবে এটা একটা দারুণ জুটি। কিন্তু ভালবাসার ক্ষেত্রে একটু গোলমেলে। কারণ, দুই সংখ্যার মানুষের চাহিদা একটু বেশি। সম্পর্কে সব সময়েই টানাপোড়েন দেখা যায়।

১-এর সঙ্গে ৯। এক্ষেত্রে ৯ সংখ্যা স্বার্থত্যাগ করতে প্রস্তুত থাকে। ১ যদি তার মর্যাদা দিতে পারে তবে ভাল। কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় ৯ বেশিদিন ১-এর আত্মকেন্দ্রিকতা সহ্য করতে পারে না।

২-এর সঙ্গে ২। ভালবাসা এবং ভালবাসা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমানে সমানে লড়াই সত্যিকারের সুখি জুটি তৈরি করে দিতে পারে। কিছু কিছু গোলমাল হতেই পারে তবে ২ সংখ্যার মানুষেরা সাধারণত খুব নরম স্বভাবের হওয়ায় সমস্যা হয় না।

২-এর সঙ্গে ৩। এই জুটি খুব খুব ভাল হতে পারে। কারণ ৩ সব সময়েই খুব প্রাণবন্ত স্বভাবের আর ২ শান্ত, নরম মনের। ২-এর জীবনে অনেক পরিবর্তন এনে দিতে পারে ৩।

২-এর সঙ্গে ৪। এই জুটির ক্ষেত্র সুখের জন্য বড় ভূমিকা গ্রহণ করে ৪। কারণ, ৪ পরিবারে সুখ-শান্তি আনার ক্ষেত্রে খুবই ভাল। কিন্তু একটা সমস্যা হয়। ২-এর ভালবাসায় যে দেখনদারি থাকে সেটা ৪-এর মোটেই পছন্দ হয় না।

২-এর সঙ্গে ৫। এক্ষেত্রে ২ সবসময়ে ভালবাসায় বিশ্বাসী আর ৫ বিশ্বাসী ব্যক্তি স্বাধীনতায়। এই সম্পর্কে সব সময়েই কোথায় যেন একটা দূরত্ব কাজ করে। এক সঙ্গে চলাটা খুব সহজ নয়।

২-এর সঙ্গে ৬। এটা আরও একটা সুন্দর সম্পর্ক। ৬ আর ২-এর সম্পর্ক জ্যোতিষ বিচারে অন্যতম সেরা সম্পর্ক। তবে কখনও কখনও একের সম্পর্কে অপরের অতি দুর্বলতা সমস্যা তৈরি করে।

২-এর সঙ্গে ৭। এই সম্পর্কটার মধ্যেও কিছুটা পরস্পরবিরোধিতা দেখা যায়। ২-এর ভালবাসায় যে দেখনদারি থাকে সেটা অনেক সময়েই ৭ অপছন্দ করে। ৭ সাধারণত চুপচাপ থাকতেই পছন্দ করে।

২-এর সঙ্গে ৮। এই সম্পর্কের ভাল দিক হল দু’জনেই জানে তার ভূমিকা কী হওয়া উচিত। ২ পরিবারের প্রতি অতি সচেতন হয় আর ৮ সেটাকে সমর্থন করে। ২ পুরুষ হলেও এক্ষেত্র ৮-এর তুলনায় বেশি পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল হয়।

২-এর সঙ্গে ৯। এই সম্পর্কটা খুব ভাল যেমন হতে পারে তেমনই আবার খুব খারাপও হতে পারে। ২ সব সময়ে মনযোগ চায় আর ৯-এর মনযোগ ঘরের থেকে বাইরে থাকে বেশি। এটা মেনে নিতে পারলে সুখ আর না পারলে অশান্তি।

৩-এর সঙ্গে ৩। এই ৩ সংখ্যা মানেই সে সৃষ্টিশীল। আর এক্ষেত্র দুই সৃষ্টিশীল মানুষ এক হলে যা হওয়া সম্ভব তাই হয়। অনেক ক্ষেত্রেই সংসার উপেক্ষিত হয়। ভাল হলে ভাল আর খারাপ হলে সৃষ্টিছাড়া কিছু হতেই পারে।

৩-এর সঙ্গে ৪। এক্ষেত্রে ৩ সংখ্যা ৪-কে শেখাতে পারে কীভাবে মজায় জীবন কাটানো যায় আর উল্টোদিকে ৪ জানে কীভাবে নিরাপদে জীবন কাটানো য়ায়। দুই সংখ্যারই অনেক ভাল গুণ রয়েছে আর দু’জনেই যদি মাঝামাঝি অবস্থানে আসতে পারে তবে সোনায় সোহাগা।

৩-এর সঙ্গে ৫। এই জুটিও অত্যন্ত ভাল। এরা যদি পারস্পরিক চাহিদা বুঝে চলতে পারে তবে এর থেকে ভাল কিছু হয় না। এই দুই সংখ্যাও সৃষ্টিশীল মানসিকতার। ফলে দু’জনে নিজের নিজের কাজ নিয়েই মেতে থাকে। ফলে সংঘাতও লাগে।

৩-এর সঙ্গে ৬। এই জুটিও খুবই প্রাণবন্ত। ৩-এর মধ্যে রয়েছে দুর্দান্ত পরিকল্পনা শক্তি আর ৬ সেই পরিকল্পনায় সমর্থন জোগায়। এই জুটির সুখ খুব শক্তিশালী এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়। তবে অনেক সময়ে ৩ সম্পর্কে ঈর্ষা তৈরি হয় ৬-এর মধ্যে।

৩-এর সঙ্গে ৭। এই দুই সংখ্যার মধ্যে ততটাই পার্থক্য থাকে দু’জন মানুষের মধ্যে যতটা ফারাক থাকা সম্ভব ততটা। ৩ সব সময়েই মানুষের সঙ্গে মিশতে পছন্দ করে, বেড়াতে ভালবাসে, কাজের মধ্যে থাকতে ভালবাসে আর এগুলো ৭-এর চোখে একেবারেই অপছন্দের।

৩-এর সঙ্গে ৮। এই জুটি সবসময়েই নানা রকমের সংঘাতের মধ্য দিয়ে চলে। ফলে এই ভাব তো এই আড়ি। ৮-এর জীবনে সবসময়েই নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে এবং সেই লক্ষ্যে পৌঁছনোর তাগিদ থাকে। আর ৩ একেবারেই এমন ল‌ক্ষ্যের পিছনে ছোটা পছন্দ করে না।



মন্তব্য চালু নেই